নেপালকে হারালেই সুপার এইট, হারলে সম্ভাবনা কতটুকু | চ্যানেল আই অনলাইন

নেপালকে হারালেই সুপার এইট, হারলে সম্ভাবনা কতটুকু | চ্যানেল আই অনলাইন

নেদারল্যান্ডসকে সহজ প্রতিপক্ষ ভাবা হচ্ছিল না। আবার খুব যে কঠিন, তাও মানা যাচ্ছিল না। অবশ্য ঘাম ঝরিয়েই ডাচদের হারাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ২৫ রানের ব্যবধান দেখে হয়ত অনেকের কাছে বোধগম্য হবে না, কেমন লড়াই হয়েছে। রিশাদ হোসেন দ্রুত উইকেট শিকার করায় শেষের দুই ওভারই শুধু ম্যাড়ম্যাড়ে ছিল। ম্যাচের বাকি ৩৮ ওভারই ছিল রোমাঞ্চ নিয়ে উপভোগ করার মতো।

সুপার এইটের পথ অনেকটাই পরিষ্কার বাংলাদেশের সামনে। তবে নেপাল সবশেষ ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে যেভাবে লড়াই করে ১ রানে হেরেছে তাতে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যাওয়ারই কথা। বাংলাদেশ দলকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই মাঠে খেলতে হবে।

জিতলে তো সরাসরি সুপার এইট নিশ্চিতই বাংলাদেশের। তবে হেরে গেলে পানির মতো সহজ হবে না পরের রাউন্ডে ওঠা। বাংলাদেশকে হারালে অবশ্য নেপালের সুযোগ থাকবে না সুপার এইটে যাওয়ার। কেননা রান রেটে অনেক বেশি পিছিয়ে তারা।

তবে সুবিধা হবে নেদারল্যান্ডসের। যাদের হারিয়ে সুপার এইটের ম্যাচগুলো খেলার জন্য মুখিয়ে বাংলাদেশ তাদেরও সুযোগ আছে পরের রাউন্ডে যাওয়ার।

বাংলাদেশ যদি নেপালের কাছে হেরে যায় আর ডাচরা যদি আগেই বাদ পড়া লঙ্কানদের হারিয়ে দেয় তাহলে সুপার এইটের পথ আরও জটিল হবে। তখন বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে রান রেটে এগিয়ে থাকা দলেই উঠবে শেষ আটে।

`ডি’ গ্রুপের দল দুটির মধ্যে রান রেটে অনেকটাই এগিয়ে শান্তবাহিনী। চার ম্যাচের চারটিতেই জিতে গ্রুপপর্ব শেষ করেছে প্রোটিয়ারা। আগেভাগেই নিশ্চিত করে ফেলেছে সুপার এইট। বড় ধরণের কোনো অঘটন না ঘটলে বাংলাদেশের সুপার এইট নিশ্চিত! ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা বলেই নিশ্চয়তার সার্টিফিকেট দেয়া যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ-নেপাল লড়াই সেন্ট ভিনসেন্টে সোমবার প্রত্যুষে। বাংলাদেশে ঈদের দিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় খেলা শুরু। ক্যারিবয়ান এই অঞ্চলটির স্থানীয় সময় অবশ্য সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা।

আগের ম্যাচটি ছিল সকালের। এবার ফ্লাড-লাইটে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুই দিন আগেই এখানে খেলায় মাঠ সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা রয়েছে টিম টাইগার্সের।

নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশ টি-টুয়েন্টি খেলেছে মোটে একটি। সেটি ১০ বছর আগে ২০১৪ সালে ঘরের মাঠের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে। চট্টগ্রামে ৮ উইকেটে নেপালকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল আয়োজকরা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই আসরের দুর্বলতম দল হংকংয়ের কাছে ২ উইকেটে হেরে আক্ষেপে পুড়েছিল বাংলাদেশ।

সে রকম অক্ষটনের জন্ম যেন আর্নস ভেল স্টেডিয়ামে না হয় সেজন্য ম্যাচের আগের দিন স্থানীয় সময় দুপুরেই অনুশীলন সেরে নিয়েছে বাংলাদেশ দল।

Scroll to Top