নেইমারকে ‘সেদ্ধ’ করলে যা থাকে, সেটাই দেজিরে দুয়ে

নেইমারকে ‘সেদ্ধ’ করলে যা থাকে, সেটাই দেজিরে দুয়ে

২০২২ সালে ইসরায়েলে ফ্রান্সের ইউরোপিয়ান অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্ট জয়ে প্রথম নজরে আসেন দুয়ে। তাঁর উঠে আসার বাকি পথটা এত দিনে সবার জানা। নিশ্চয়ই এটাও জানা, এবার চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৬ ম্যাচে (৮ বার একাদশে, ৮ বার বদলি) গোল করেছেন ৫টি, করিয়েছেন ৪টি। এর মধ্যে শেষ দুটি গোলের (চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল) ম্যাচে তাঁর খেলার ধরনকে দারুণভাবে বিশ্লেষণ করেন ইংরেজ সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম ‘গার্ডিয়ান’–এর প্রধান ক্রীড়া লেখক বার্নি রোনি, ‘এমন সব রাতে (চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল) তাকে দেখে মনে হয়, কেউ হয়তো নেইমারকে আট ঘণ্টা ধরে সেদ্ধ করে তার সব বাগাড়ম্বর ও অপ্রয়োজনীয় অলংকারাদি ছাড়িয়ে শুধু বিশুদ্ধ অংশটুকুসহ মাঠে ছেড়ে দিয়েছে। এ যেন পোস্ট-থেরাপি নেইমার।’

কুড়ি বছর বয়সে নেইমারের ইউরোপে পা পড়েনি। তবে দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠ ক্লাব প্রতিযোগিতা কোপা লিবার্তাদোরেস জিতেছিলেন কুড়িতে পা রাখার আগেই। ১৯ বছর বয়সে। দুয়েও একই বয়সে জিতলেন ইউরোপের শ্রেষ্ঠ ক্লাব প্রতিযোগিতা।

পার্থক্য হলো, নেইমারের অমিত প্রতিভাকে ধীরে ধীরে তাঁর বিশৃঙ্খল জীবন ঘুণপোকার মতো খেয়ে নিয়েছে। দুয়ের জীবনে এখনো তেমন কোনো ‘ঘুণপোকা’র কথা জানা যায়নি। আজ তাঁর ২০ বছর বয়সে পা রাখা পর্যন্ত ভেতরে যতটুকু যা আছে, পুরোটাই শুদ্ধ, শুধু-ই ফুটবলের জন্য।

শুভ জন্মদিন, দেজিরে দুয়ে।

Scroll to Top