২০২৪ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে মূলত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত ও তাদের দলের পৃষ্ঠপোষকতায় দাঁড়ানো স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে। যাকে অনেকে ‘আমি আর ডামির’ নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করেন।
শেখ হাসিনা সরকারের অধীন এই তিনটি নির্বাচনকে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলা যায় না বলে সংস্কার কমিশন মনে করে।
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংস্কারের সার্থকতা তার বাস্তবায়নে। নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কারসংক্রান্ত সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন নির্ভর করবে চারটি পক্ষের ওপর—অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল ও জনগণ। এর মধ্যে প্রস্তাবগুলো কত দ্রুত বাস্তবায়িত হবে, সেটা নির্ভর করতে মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহের ওপর।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এই ব্যবস্থাকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে তাঁরা অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছেন। এগুলোতে দ্বিমত হওয়ার সম্ভাবনা কম। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় বলে কমিশন মনে করে।