এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষ থেকে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আটজন খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং দলের মালিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কোডের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। এরমধ্যে আছে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনের নামও।
টি-টেন লিগের সময় ইসিবির দুর্নীতিবিরোধী কোড লঙ্ঘনের জন্য বেশ কয়েক খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে এনেছে আইসিসি। অভিযোগগুলি ২০২১ সালের আবুধাবি টি-টেন লিগের সাথে সম্পর্কিত। উল্লিখিত টুর্নামেন্টটি ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ছয়টি দল নিয়ে মাঠে গড়িয়েছিল৷ আইসিসি বিবৃতিতে বলেছে, তারা লিগ পর্বের ম্যাচগুলিকে নষ্ট করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। টুর্নামেন্ট চলাকালীন ইসিবি আইসিসিকে ডেজিগনেটেড অ্যান্টি-করাপশন অফিসিয়াল (ডিএসিও) হিসাবে নিযুক্ত করেছিল, তারাই এবার অভিযোগগুলি সামনে এনেছে।
২০২১ সালের আসরে বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে অধিনায়ক রেখে স্কোয়াড ঘোষণা করে আবুধাবি টি-টেনের দল পুনে ডেভিলস। আইসিসি বলছে, নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়া এই নাসিরই যুক্ত হয়েছিলেন নানা দুর্নীতিতে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল উপহার বা অর্থ গ্রহণ করা।
নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে যে তিনটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ-
অনুচ্ছেদ ২.৪.৩ – ৭৫০ মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের উপহারের রসিদ প্রকাশ করতে ব্যর্থ হওয়া।
অনুচ্ছেদ ২.৪.৪ – দুর্নীতিমূলক আচরণে জড়িত হওয়ার জন্য প্রাপ্ত কোনো পদ্ধতি বা আমন্ত্রণের সম্পূর্ণ বিবরণ প্রকাশ করতে ব্যর্থ হওয়া।
অনুচ্ছেদ ২.৪.৬ – ডিএসিও দ্বারা পরিচালিত তদন্তে সহযোগিতা না করা বা অস্বীকার করা।
এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গে নাসির ছাড়াও অভিযুক্ত হয়েছেন এক ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক কৃষাণ কুমার চৌধুরী, পরাগ সাঙ্ঘভি, ব্যাটিং কোচ আজহার জাইদি, ঘরোয়া ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান, সহকারী কোচ সানি ডিলন, টিম ম্যানেজার শাদাব আহমেদ। নাসিরের বিপক্ষে দুর্নীতি বিরোধী তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে ছয়জন – কৃষাণ কুমার চৌধুরী, পরাগ সাঙ্ঘভি, আজহার জাইদি, রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান এবং সানি ডিলনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এবং সকলের কাছে অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ দিন সময় রয়েছে।