সাহাবিদের ভালোবাসায় কান্না
আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন যে রাসুল (সা.) যায়েদ ও তার সঙ্গীদের শাহাদাতের সংবাদ দিয়ে বললেন, যায়েদ পতাকা তুলে নিয়েছে। সে শহিদ হলো। তারপর জাফর পতাকা ধরেছে। সে-ও শহিদ হয়ে গেল। এবার আবদুল্লাহ ইবনে রওয়াহা পতাকা হাতে নিয়েছে। সে-ও শহীদ হয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, নবীজির (সা.) দু চোখ তখন অশ্রু ঝরাচ্ছিল। (বুখারি, হাদিস: ৩,০৬৩)
কখনো কখনো তিনি এত বেশি বেদনাহত হতেন যে তাঁর হৃদয়ে ছাপ থেকে যেত। একসঙ্গে অনেক ক্বারীর শাহাদাতের ঘটনা সম্পর্কে আনাস (রা.) বলেন, নবীজিকে (সা.)এর চেয়ে বেশি বেদনাহত হতে আমি আর দেখিনি। (মুসলিম, হাদিস: ৬৭৭)
নামাজে কাঁদা
নামাজে নবীজি(সা.)কে প্রায়ই কাঁদতে দেখা যেত। কখনো সাহাবিরা জানতে পারতেন, কখনো বুঝতেও পারতেন না যে নবীজি (সা.)কাঁদছেন। কেবল তাঁর দু চোখ ছাপিয়ে অশ্রু ঝরে যেত। আবার কখনো নামাজে তেলাওয়াতের সময় কান্নায় গলা ভারী হয়ে আসত।
আবদুল্লাহ ইবনে শিখখির (রা.) তাঁর পিতার বর্ণনা নকল করেন এইভাবে যে, একবার নবীজির (সা.) কাছে গিয়ে দেখি, তিনি নামাজ পড়ছেন, আর তাঁর বুক থেকে কান্নার এমন শব্দ বের হচ্ছে, যেন চুলায় রাখা পানির পাত্র টগবগ করে ফুটছে।
তিনি আবার কখনো কখনো সেজদায় পড়েও কাঁদতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, একবার সূর্যগ্রহণের সময় নবীজি (সা.)নামাজে দাঁড়িয়ে গিয়ে দীর্ঘ রুকু-সেজদা করলেন। সেজদায় গিয়ে মনে হলো তিনি আর উঠবেন না। তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলছিলেন আর কাঁদছিলেন। দোয়ার মধ্যে বলছিলেন, হে আমার প্রতিপালক, আপনি কি আমাকে এই প্রুতশ্রুতি দেননি যে, আমার উপস্থিতিতে উম্মতকে শাস্তি দেবেন না। (নাসায়ি, হাদিস: ১,২১৪)