বিশ্বকাপে টানা চার ম্যাচ হেরে রীতিমতো হাবুডুবু খাচ্ছে বাংলাদেশ দল। শনিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। কলকাতায় পৌঁছে বৃহস্পতিবার থেকে অনুশীলন শুরু করেছে টাইগাররা। তবে দলের বাকিদের ছাপিয়ে সাকিব আল হাসানই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, ডাচদের বিপক্ষেও পারফর্ম্যান্স বিচারেও থাকবেন আতশ কাঁচের নিচে।
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের পর মুম্বাই থেকে কলকাতায় না এসে সাকিব দুদিনের জন্য এসেছিলেন ঢাকায়। ছোটবেলার কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমের সাথে অনুশীলন শেষে আবার ফিরেও গেছেন। তবে টাইগার অধিনায়কের ঢাকায় ফেরা ভালোভাবে নেয়নি বিসিবি, ছুটিতে থাকলেও বাধ্য হয়ে তাঁকে ভারত ফিরতে হয়েছে একদিন আগেই। তাই দেশে ছুটে গিয়ে সাকিব গুরুর কাছে ঠিক কোন মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে এলেন, তা নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নাই। বলা বাহুল্য, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সাকিব ভালো খেললে প্রশংসা যেমন মিলবে, খারাপ করলে সমালোচনার ষোলো কলা পূর্ণ হবে।
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোটে দুইবার। ২০১০ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ হেরেছিল ৬ উইকেটে, সবশেষ ২০১১ বিশ্বকাপে টাইগারদের জয়ও ৬ উইকেটের। অর্থাৎ, অনেকটা অপরিচিত দলের বিপক্ষেই খেলতে হবে সাকিব বাহিনীকে। অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের লড়াই হয়েছে চারবার, তিনবারই জিতেছে টাইগাররা।
যদিও একযুগেরও বেশি সময় আগে সাকিব ডাচদের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছেন, তবে সেখানে তাঁর পরিসংখ্যান খুব বেশি সুবিধার না। দুই ম্যাচ রান মোটে ১৬, উইকেট সংখ্যা ৩। এবার, দারুণ কিছু করতে পারলে সমালোচনাকারীদের মুখের ওপর মোক্ষম জবাবটাই তিনি দিতে পারবেন। অবশ্য মিরপুরে গুরু ফাহিমের সাথে সাকিবের অনুশীলনের লক্ষ্য কেবলমাত্র ডাচদের বিপক্ষেই ভালো খেলা না, বরং বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচে হারানো ছন্দটাই ফিরে পাওয়া।
ইনজুরিতে ভারতের বিপক্ষে না খেলা সাকিবের ৪ ম্যাচের রান মাত্র ৫৬ আর বল হাতে উইকেট পেয়েছেন ৬টি, যেই পারফর্ম্যান্সে শুধু টাইগার অধিনায়ক কেন ভক্তদেরও অস্বস্তি হওয়ার কথা। তাই সাকিব আল হাসান ছোটবেলার শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে চেনা কলকাতায় কতটা অচেনা এবং বিধ্বংসী রুপে ধরা দেন, তা জানতেই বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে নজর থাকবে সবার।