নওশাদের সভায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হঠাৎ হাজির! কে এই ব্যক্তি? ফাঁস হল রহস্য

নওশাদের সভায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হঠাৎ হাজির! কে এই ব্যক্তি? ফাঁস হল রহস্য

কলকাতা: ধর্মতলায় আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির বিক্ষোভ ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য়। পুলিশ সূত্রে খবর, নওশাদের পাশে সেদিন আগ্নেয়াস্ত্র সহ যে যুবককে দেখা গিয়েছিল,  সেই যুবক আচমকা নওশাদের সামনে আসেননি। ঘটনার দিন আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে রানি রাসমণির সভাতেও উপস্থিত ছিলেন। সেই ফুটেজ এসেছে কলকাতা পুলিশের হাতে।

আদালতে নওশাদ ও তাঁর আইনজীবী দাবি করেছেন আইএসএফ-এর সমাবেশে ওই যুবক আসেননি। তাঁকে নওশাদ আগে থেকে চিনতেনও না। হঠাৎ করে কী ভাবে ওই ব্যক্তি অস্ত্র হাতে নওশাদের পাশে চলে গেলেন, তা-ও নওশাদ জানেন বলে দাবি তাঁর। অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের কাছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে বিক্ষোভস্থলে চেয়ারে বসে বক্তৃতা শুনছেন ওই যুবক।

নওশাদের সভায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হঠাৎ হাজির! কে এই ব্যক্তি? ফাঁস হল রহস্য

ওই ফুটেজ দেখে অস্ত্রধারী যুবককে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত হেয়ার স্ট্রিট থানা গ্রেফতারও করে তাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আলমগীর হুসেন। বাস মুর্শিদাবাদের খাড়গ্রামের বাসিন্দা। গুজরাতের বঢদরায় সেনায় হাবিলদারের পোস্টে নিযুক্ত। দু মাসের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন আলমগীর। গত ২১ জানুয়ারি আইএসএফের ধৰ্মতলায় সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন। পুলিশের দাবি, এই ব্যক্তি নওশাদেরই দুঃসম্পর্কে আত্মীয়।

আরও পড়ুন: সতর্ক হয়ে কথা না বললেই… ২৫জানুয়ারি ‘বিশেষ’ সাবধান বাণী এই রাশির জন্য! কি বলছে আপনার রাশিফল?

ধৃত আলমগীরকে গত মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁর পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশের দাবি, ধৃতের কাছ থেকে কোনও অস্ত্র উদ্ধার হয়নি এখনও। কিন্তু কেন সে অস্ত্র নিয়ে কেন এসেছিল? কী উদ্দেশ্যেই বা এনেছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: মোদিকে নিয়ে তথ্যচিত্র, আচমকা ‘লম্বা’ লোডশেডিং! তুমুল চাপান-উতোর জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে

গত ২১ জানুয়ারি শনিবার, ঘটনার দিন অবশ্য উক্ত যুবককে নিজের দেহরক্ষী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন নওশাদ। সেই সময় নওশাদকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ” ও আমার বডি গার্ড। কেউ ওর গায়ে হাত দেবে না।” যদিও রবিবারই নিজের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যান নওশাদ। আদালতে তিনি জানান, তাঁর কোনও বডিগার্ড নেই। তিনি দেহরক্ষী নিয়ে ঘোরেনও না। ওই ব্যক্তিকে জনরোষের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যেই সেদিন তিনি ওই কথা বলেছিলেন বলে জানান ভাঙরের বিধায়ক।

ARPITA HAZRA

Published by:Satabdi Adhikary

First published:

Tags: ISF

Scroll to Top