অনেক দিন ধরে অসুস্থতার কারণে ছিলেন আড়ালে। মঞ্চের করতালি আর আলো থেকে দূরে। কিন্তু আজ সেই নীরবতা ভেঙে আবার ফিরে এলেন আলোয়। মঞ্চে নিজের ওপর প্রামাণ্যচিত্র দেখে অভিভূত তিনি, ‘সবকিছু এত সুন্দর হয়েছে যে আমি ভীষণ আনন্দিত। এ যেন আমার জীবনে আলোকিত আরেকটি বিকেল।’ স্বীকার করলেন, জীবনের শেষ সময়ে এই সম্মান পাওয়া তাঁর কাছে বিরাট অর্জনও। বিশেষ করে অ্যাথলেটিকসে পুরুষ স্প্রিন্টারদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই স্বীকৃতি পেলেন।
অনুষ্ঠান শেষে অনেকটা সময় অনেকের অভিনন্দনে সিক্ত হলেন মোশাররফ হোসেন শামীম। স্ত্রী, ছেলে, নাতি-নাতনি আর আত্মীয়দের নিয়ে ধীরে ধীরে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। মুখে তৃপ্তির হাসি। মনে স্মৃতির আলো। দীর্ঘ পথচলার শেষ প্রান্তে এসেও আবার ছুঁয়ে দেখলেন জয়ের আনন্দ। এই আনন্দই বাকি জীবনে তাঁর কাছে গর্বের অনুভূতি হয়ে থাকবে, নিজেই তা বলে যান বাড়ি ফেরার আগে।
দ্রুততম মানবের আড়াল থেকে ফেরা হলো আরেকবার। আলোর মঞ্চে, করতালির শব্দে, ভালোবাসার উষ্ণতায়।