মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে গুমের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তারা সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের বিনা বিচারে হত্যা করেছিল। জুনে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে অথচ রায় হয়েছে ডিসেম্বরে। এমন ঘটনাও ঘটেছে।
তিনি আজ শনিবার (২৩ সেপ্টম্বর) সকালে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কমিশন গঠন করে খুনী জিয়ার মরন্নোত্তর, খুনী খালেদা ও তারেক রহমানের বিচারের প্রক্রিয়া চলছে। আইনমন্ত্রী সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশকে অকার্যকর, ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। জিয়ার প্রত্যক্ষ মদদে পঁচাত্তরের পর দেশে নির্বিচারে হত্যাকারীদের বিচারে আলাদা কমিশন গঠন করা হবে। এরপর খুনিদের মরণোত্তর বিচার করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। তবেই জাতি দায়মুক্ত হবে।
মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর তো কারও মানবতা দেখিনি। অথচ তখন দায় মুক্তির আইন করে খুনিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জাতির পিতাকে হত্যা করে তার বিচার চাওয়া যাবে না। এমন আইন করে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ এজাহার খান এমপি। বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম, আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি প্রমুখ।