দৃষ্টিহীন সানিয়ার বাজিমাত, জাতীয় স্তরের দাবা খেলায় প্রথম দেশে বাংলার মেয়ে

দৃষ্টিহীন সানিয়ার বাজিমাত, জাতীয় স্তরের দাবা খেলায় প্রথম দেশে বাংলার মেয়ে

Last Updated:

দৃষ্টিহীন সানিয়ার দাবার চালে বাজিমাত। জাতীয় স্তরে প্রথম দশে স্থান। আগামীতে প্যারা অলিম্পিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। দৃষ্টি শক্তি না থাকলেও যে এগিয়ে যাওয়া যায়, সেটাই করে দেখাল সানিয়া।

+

দৃষ্টিহীন সানিয়ার বাজিমাত, জাতীয় স্তরের দাবা খেলায় প্রথম দেশে বাংলার মেয়ে

দাবা খেলছে সানিয়া 

আসানসোল: দৃষ্টিহীন সানিয়ার দাবার চালে বাজিমাত। জাতীয় স্তরে প্রথম দশে স্থান। আগামীতে প্যারা অলিম্পিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। দৃষ্টি শক্তি না থাকলেও যে এগিয়ে যাওয়া যায়, সেটাই করে দেখাল সানিয়া। যা দৃষ্টিহীন মানুষকে আশার আলো দেখাবে। কথায় আছে, মনের ইচ্ছা শক্তি সব থেকে বড় জিনিস। সেই ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ কখনও কখনও অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ সহজ হয়ে যায়। সেই কাজটি করে দেখাল বাংলার সানিয়া।

সানিয়া খাতুন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুড়িয়ার নিঘা গ্রামের একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে। ছোটবেলায় সে বাবাকে হারায়। বাড়িতে মা, দুই দিদি এবং দাদা রয়েছে। কোনও রকমে চলে সংসার। তবে সানিয়া জন্ম থেকেই চোখে দেখতে পায় না, যার ফলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। বর্তমানে সানিয়া আসানসোল ব্রেইল অ্যাকাডেমির অষ্টম শ্রেণীর আবাসিক ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটার, গান, আবৃতি, সবকিছুতেই দক্ষ সানিয়া। বিশেষভাবে সক্ষম সানিয়া চমকে দিয়েছে দাবা খেলায়। স্বাভাবিকভাবেই সানিয়ার এই সাফল্যে খুশি সকলেই।

ছোট্ট সানিয়া বলছে, পড়াশোনার পাশাপাশি দাবা খেলা ছোট থেকেই ভাল লাগে। ত্রিপুরায় একটি ইভেন্টের সাফল্যের পর, হিউমেন চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে বেঙ্গালুরু গিয়েছিল। আগামী দিনে প্যারা অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কয়েকদিন আগেও কর্ণাটকে জাতীয় স্তরের একটি দাবা প্রতিযোগতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম দশে স্থান পায় সানিয়া। আগামীতে দাবা খেলা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তার।

আরও পড়ুন- বাড়ি ফেরার পথেই ভরতপুরে কুপিয়ে খুন তৃণমূলকর্মীকে, বাড়িতে কান্নার রোল! কেন জানেন?

পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে রয়েছে এই ব্রেইল অ্যাকাডেমি। ২০০৭ সালে তাঁদের পথ চলা শুরু হয়। এখানে দৃষ্টিহীন ছাত্র ছাত্রীদের বিনামূল্যে পঠন-পাঠন থেকে শুরু করে হোস্টেল থাকা খাওয়ার সু বন্দোবস্ত আছে।এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি, গান-বাজনা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ছাত্র ছাত্রীদের হাতেকলমে নানান শিক্ষায় পারদর্শী করে তুলছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।

রিন্টু পাঁজা

Scroll to Top