উয়েফা নেশনস লিগের প্রথম লেগে ডেনমার্কের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল পর্তুগাল। ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে দারুণ প্রত্যাবর্তন করেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল। ৭ গোলের ম্যাচে তিন গোলের ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা। অন্যদিকে প্রথম লেগে জার্মানির বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছিল ইতালি। ফিরতি লেগে লড়াই করেছিল তারা। ৩-৩ গোলে ড্র করলেও প্রথম লেগে পরাজয়ের মাশুল দিতে হয়েছে তাদের। ইতালিকে হারিয়ে সেমিতে পর্তুগালের বিপক্ষে লড়বে জার্মানি।
;
ঘরের মাঠে ডেনমার্ককে ৫-২ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে সেমিতে উঠেছে তারা। পর্তুগালের গোল সংখ্যা হতে পারত ৬টি। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে পেনাল্টি মিস করেন রোনালদো। যদিও ৩৮ মিনিটে লিড পায় পর্তুগিজরা। অবশ্য গোলটি এসেছিল ডেনমার্কের অ্যান্ডারসনের পা থেকে। ১-০ গোলে প্রথমার্ধ শেষ করে পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতায় ফেরে ডেনমার্ক। ৫৬ মিনিটে রাসমুস ক্রিস্টেনসেন পর্তুগালের জালে বল পাঠান। ৭২ মিনিটে গোল করে পর্তুগিজদের পুনরায় লিড এনে দেন রোনালাদো। মিনিট চারেক পরেই লিড হারায় দলটি। ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের গোলে সমতায় ফেরে ডেনমার্ক।
৮৬ মিনিটে পর্তুগালের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন ফ্র্যান্সিসকো ট্রিনাকো। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে শেষে দুই লেগ মিলে ৩-৩ গোলে ড্র করে দুদল। অতিরিক্ত সময়টা নিজেদের করে নেয় পর্তুগাল। প্রথম মিনিটে গোল করেন ফ্র্যান্সিসকো। এরপর ১১৫ মিনিটে গঞ্জালো রামোস পঞ্চম গোলটি করেন। দুই লেগ মিলে ৫-৩ গোলে জয় নিশ্চিত করে পর্তুগাল।
অন্যদিকে ঘরের মাঠে প্রথম লেগে জার্মানির কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল ইতালি। ফিরতি লেগে শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ৩-৩ গোলে ড্র করলেও ঘরের মাঠে হারের মাশুল দিতে হয়েছে তাদের। দুই লেগ মিলে ৫-৪ গোলে সেমিতে জার্মানি।
প্রথমার্ধে জার্মানির আধিপত্য ছিল । ৩ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক দল। ৩০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করেন জসুয়া কিমিচ। ৩৬ মিনিটে জামাল মুসালিয়া দ্বিতীয় গোলটি করেন। ৪৫ মিনিটে টিম ক্লেইনডিনেস্ট ব্যবধান বাড়ান।
৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করে ইতালি। ৪৯ মিনিটে ব্যবধান কমান মোসি কিয়েন। ৬৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটিও করেন তিনি। এরপর যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে পেনাল্টিতে গোল করে ইতালিকে সমতায় ফেরান জিয়াসোমো রাসপাডোরি। ড্র করলেও প্রথম লেগে ১ গোলে এগিয়ে থাকায় শেষ হাসিটা হাসে জার্মানি।