রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ২৯ জুলাই রাত আটটার দিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। শিগগিরই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। এ ছাড়া আরেকটি চিঠিতে স্থগিত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পদও।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিতে আহত হন গোলাম আকবর খন্দকার নিজেও। তিনি দাবি করেছেন, তার গাড়িবহরে হামলা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নেতা-কর্মীদের বহর নিয়ে উপজেলা বিএনপির প্রয়াত সভাপতির কবর জিয়ারত করতে যান গোলাম আকবর খন্দকার। একই দিন আগামী ৯ আগস্ট সমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে পূর্বনির্ধারিত মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার কর্মসূচি ছিল গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারীদের। গোলাম আকবর তার বহর নিয়ে সত্তারহাট এলাকায় পৌঁছালে সেখানে অবস্থান নেওয়া গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারীদের মুখোমুখি হন। ওই সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
ঘটনাস্থলের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গোলাম আকবরের বহরের একটি পাজেরো জিপের সামনের–পেছনের কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। গাড়ির ভেতরেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি মোটরসাইকেল। ঘটনার পরপরই যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেখানে পুলিশ আসার পর সড়কের এক পাশে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
অপরদিকে, গত ১২ জুলাই ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি’র কাউন্সিল অধিবেশনকে কেন্দ্র করে হানাহানি ও সংঘাতের ঘটনায় ঠাকুরগাঁও জেলাধীন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. মো. সৈয়দ আলম এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ড. টি এম মাহবুবুর রহমানকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
হিংসাত্মক ও অশোভন আচরণের সাথে জড়িত থাকায় তাদেরকে বহিস্কার করা হয়েছে।