দুই ঘণ্টা পর নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে তরোয়া এলাকায় ইঞ্জিন বিকল হওয়া তিতাস কমিউটার ট্রেনটিকে সরানো হয়েছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকাগামী পরবর্তী আন্তনগর ট্রেন চট্টলা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন দিয়ে ওই ট্রেনটিকে পরবর্তী স্টেশন জিনারদীতে নিয়ে রাখা হয়।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে দুপুর একটায় ছেড়ে আসা তিতাস কমিউটার ট্রেনটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতিতে থামে ট্রেনটি। বিরতি শেষে ২টা ১৮ মিনিটে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। এর চার মিনিটের মাথায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে তরোয়া এলাকায় হঠাৎ ট্রেনটি থেমে যায়। সেসময় ঢাকাগামী আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ট্রেনের হাজারও যাত্রী চরম দূর্ভোগে পড়ে।
ট্রেনের সহকারি লোক মাস্টার (চালক) মো. ফরহাদ জানান, ট্রেনটি নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে এসে তরোয়া এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ ইঞ্জিন থেকে দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়া বের হতে থাকে। পরক্ষণেই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে ট্রেন থেমে যায়। পরবর্তীতে আমরা দেখি ট্রেনের যে মূল জেনারেটর রয়েছে, সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরে আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করি। তারা নির্দেশ দিয়েছে যে, ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন এসে এই ট্রেনটিকে সরিয়ে নিয়ে যাবে।
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ইমন খান জানান, বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পরবর্তী ট্রেন আন্তঃনগর চট্টলা এক্সপ্রেস স্টেশনটিতে যাত্রাবিরতি দেয়। এই ট্রেনের ইঞ্জিনের সহায়তায় আধা ঘণ্টায় ইঞ্জিন বিকল হওয়া তিতাস কমিউটারকে পরবর্তী জিনারদী স্টেশনে নেওয়া হয়। পরে ইঞ্জিনটি ফিরে এসে নরসিংদী থেকে বগি নিয়ে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কার্তিক চন্দ্র রায় জানান, তিতাস কমিউটার ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ট্রেনটি বর্তমানে ঢাকা থেকে রওনা হওয়া উদ্ধারকারী ইঞ্জিনের অপেক্ষায় জিনারদী স্টেশনে অবস্থান করছে। এই ঘটনায় অন্য কোন ট্রেনের টাইম সিডিউলে সমস্যা হয়নি।