লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্বাদে ফলের রাজা! কিন্তু আম কি স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল? পাকা আম যতই ভিটামিন এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্টসে ভরপুর হোক, এই ফলের চিনির মাত্রাও অন্যান্য ফলের থেকে অনেক বেশি। তাই যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় কিংবা যদি ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকে তবে আম খেতে হবে সাবধানে। ঠিক কতটা আম দিনের কোন সময়ে কী ভাবে খেলে ওজন বাড়বে না? কিংবা রক্তে আচমকা শর্করা মাত্রা বেড়ে যাবে না?
১। দিনে ক’টি আম খাওয়া নিরাপদ
একটি আমে থাকে ১২০-১৫০ কিলোক্যালোরি। আর তাতে প্রাকৃতিক চিনি বা সুক্রোজ়ের পরিমাণ থাকে ৪৫ গ্রাম। ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ থাকার জন্য ওই ক্যালোরি হয়তো দারুণ ক্ষতিকর নয়, তবে ডায়াবিটিসের রোগী হলে আম সামলে খাওয়াই ভাল। এমনিতে এক জন সুস্থ মানুষ দিনে একটি মাঝারি মাপের আম খেতেই পারেন।
২। আম কখন খাবেন?
দিনের কোন সময়ে আম খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে, তা শরীরের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে।
সকালে আম খেলে: আম সকালে খাওয়াই সবচেয়ে ভাল। কারণ সকালে বিপাকের হার থাকে বেশি। তাই শরীর আমে থাকা চিনিকে ভাঙতে পারে।
শরীরচর্চার পরে আম খেলে: শরীরচর্চা করার পরে আম খাওয়া ভাল। শক্তিক্ষয়ের জন্য শরীরের যে ক্লান্তিবোধ হয়, তা নিমেষে দূর করতে পারে আম। প্রোটিন বারের থেকে এটি শতগুণে বেশি পুষ্টিকর।
রাতে আম খেলে: রাতে খাবার পরে আম না খাওয়াই ভাল। কারণ রাতে খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আসে বিশ্রামপর্ব। ঘুম। ফলে আম থেকে শরীরে যে চিনি যাচ্ছে, তা ভাঙার বেশি সময় পায় না শরীর। অনাবশ্যক ক্যালোরি জমতে থাকে। ওজন বৃদ্ধির ভয়ও থাকে।
৩। আম কী ভাবে খাবেন?
আমে যেহেতু চিনির ভাগ বেশি, তাই আমের সঙ্গে সব সময় প্রোটিন অথবা ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। যাতে আম খেলে আচমকা রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে না যায়। আমের সঙ্গ দই খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া চিয়া বীজ, ভেজানো বাদামের সঙ্গে আম খেলেও তা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না।