১০ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের অনুসন্ধান আবার শুরু করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার।
আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী অ্যান্থনি লোক বলেন, মন্ত্রিসভা উড়োজাহাজটি খুঁজে পেতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামুদ্রিক অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান ‘ওশেন ইনফিনিটি’-এর সঙ্গে নীতিগতভাবে সাত কোটি ডলারের চুক্তি অনুমোদন করেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
এর আগে, ২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে চীনের রাজধানী বেইজিং যাওয়ার পথে ২৩৯ জন যাত্রীসহ এমএইচ-৩৭০ ফ্লাইট নিখোঁজ হয়ে যায়।
স্যাটেলাইট তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি সম্ভবত ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের কাছাকাছি কোথাও বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু দুইবার বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়ে উড়োজাহাজটির খোঁজে তল্লাশি চালানো হলেও উল্লেখ করার মতো কিছু পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি বিশ্বের বিমান চলাচলের ইতিহাসে অন্যতম রহস্যময় ঘটনা হয়ে আছে।
‘নো ফাইন্ড নো ফি’(ফল না পেলে ফি নেই) শর্তের ভিত্তিতে চুক্তিটি অনুমোদন করেছে মালয়েশিয়া সরকার। অর্থাৎ চুক্তি অনুযায়ী, উড়োজাহাজটির খোঁজ পেলেই কেবল ওশেন ইনফিনিটি কোম্পানিকে অর্থ দেবে মালয়েশিয়া। এর আগে একই শর্তের আওতায় ২০১৮ সালে ওশেন ইনফিনিটি তিন মাস উড়োজাহাজের খোঁজ করেছিল।
উড়োজাহাজটির খোঁজে মালয়েশিয়া, চীন ও অস্ট্রেলিয়া ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের ১ লাখ ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে পানির নিচে অনুসন্ধান চালানো হয়েছিল।
ইনমারসাট স্যাটেলাইট ও উড়োজাহাজটির মধ্যে হওয়া স্বয়ংক্রিয় সংযোগের তথ্যের ওপর নির্ভর করে অনুসন্ধানটি শুরু করা হয়। এ অনুসন্ধানে ১৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার ব্যয় করা হয়। কিন্তু দুই বছর অনুসন্ধানের পরও উড়োজাহাজটির কোনো চিহ্নের খোঁজ না পেয়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে অভিযান বন্ধ করা হয়।
এরপরই ২০১৮ সালে মালয়েশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের অনুসন্ধান সংস্থা ঔশন ইনফিনিটির ‘ফল না পেলে ফি নেই’ ভিত্তিতে তিন মাসের অনুসন্ধান প্রস্তাব গ্রহণ করে। কিন্তু তাতেও ফল মেলেনি। ফলে ২০১৮ সালের মে-মাসে খোঁজাখুঁজি বন্ধ করা হয়।
এবার মালয়েশিয়া সরকার ফের ওশান ইনফিনিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। তবে মালয়েশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী বলেছেন, চুক্তির নির্দিষ্ট শর্ত নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে এবং আগামী বছরের প্রথম দিকে চুক্তিটি চূড়ান্ত হবে। নতুন অনুসন্ধান অভিযানে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এমএইচ-৩৭০ ফ্লাইটের খোঁজ চলবে।