ছোটবেলায় ঈদে নতুন কাপড় আনলে লুকিয়ে রাখতাম কাঠের দেরাজ, নয়তো স্টিলের আলমারিতে। নতুন কাপড় দেখার জন্য চাচাতো বোনদের সে কী উঁকিঝুঁকি! কিন্তু কিছুতেই কাপড় দেখাতাম না, যদি ঈদ চলে যায়! যদি কাপড়টা পুরোনো হয়ে যায়! আহ, নতুন কাপড়ের ঘ্রাণ! সময়ের স্রোতে সেই ঘ্রাণটা যেন এখন বদলে গেছে।
আমাদের আব্বা-চাচা মিলে যৌথ পরিবার ছিল। নামাজ শেষ করে সব চাচাতো-মামাতো ভাই আসতেন আব্বা-আম্মাকে সালাম করার জন্য। সালাম শেষে যা পিঠা বানানো হতো, তাই পরিবেশন করা হতো। তার মধ্যে বকফুল মানে সিলেটি ভাষায় ‘নাইকোল পিঠা’ বলা হতো, তারপর লুচি, হান্দেশ, গ্লাসকাটা (কেউ বলেন নুনগড়া), সেমাই, হালুয়া ইত্যাদি নানা জাতের খাবার থাকত।