কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের সীমান্তে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই শর্তহীন ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে কম্বোডিয়া। এই সংঘর্ষেের এখন পর্যন্ত অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাধারণ মানুষও রয়েছেন।
আজ (২৬ জুলাই) শনিবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত চেয়া কেও জানান, তার দেশ শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির পক্ষে এবং সংঘর্ষ থামানোর জন্য অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন। তবে থাইল্যান্ড এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
থাইল্যান্ড তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ইতিমধ্যেই সীমান্তবর্তী আটটি জেলায় মার্শাল ল (সামরিক আইন) জারি করেছে। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া একে অপরকে প্রথমে গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে।
ভারপ্রাপ্ত থাই প্রধানমন্ত্রী থুমথাম ওয়েচায়াই বলেছেন, পরিস্থিতি আরও তীব্র হচ্ছে যা যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এখন অস্ত্রের লড়াই চলছে যা সীমান্তের ১২টি স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেছেন, মালয়েশিয়ার প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে থাইল্যান্ড প্রথম দিকে সমর্থন দিলেও পরে তা প্রত্যাখান করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, তাদের দেশে ৮ জন বেসামরিক নাগরিকসহ ৫ জন সেনা নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
হামলায় উভয় দেশ ভারী কামান এবং রকেট হামলা চালাচ্ছে। যা এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সামরিক সংঘর্ষ।