স্বপ্ন যে সত্যি হলো আজ আহা, আহা। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের সহ–অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয় ছোটবেলা থেকে রঙিন স্বপ্ন বুনেন মাশরাফি মর্তুজার সঙ্গে ম্যাচ খেলার। এবারের বিপিএলে মাশরাফির দল সিলেটের হয়েই খেলছেন হৃদয়। ৫৫ রানের ম্যাচ জয়ী পারফর্মেন্সের এমন পথ পাড়ি দেবার গল্পও শুনিয়েছেন হৃদয়। ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন ছিল মুশফিক, মাশরাফির সঙ্গে খেলার।
মাশরাফি নামটা এদেশে ক্রিকেটার তৈরির কারখানার প্রধান উপকরণ। মাশরাফিকে আদর্শ মেনে ক্রিকেটাঙ্গণে পা রেখেছেন এমন সংখ্যা অগণিত। আর এই মাশরাফির সঙ্গে ম্যাচ খেলার স্বপ্ন সেই ছোটবেলা থেকেই দেখতেন তরুণ ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়।
‘মাশরাফি ভাই সবার ক্যাপ্টেন। উনি প্রথম থেকেই, বিশেষ করে আমাকে বলতেছে যে, এখনও বললো উনার প্রথম টার্গেটে আমি ছিলাম, নিবে উনি। আর আমি অনেক লাকি, আমার ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল মুশফিক ভাই, মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে খেলার। আল্লাহ্র রহমতে খেলতে পারতেছি এবং খুব ভালো একটা গাইডলাইনের মধ্যে আছি। সবথেকে বড় জিনিস যেটা ফ্রিডম পাচ্ছি।’
বরিশালের বিপক্ষে বিপিএলের ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্ত’র সঙ্গে তরুণ তৌহিদ হৃদয় মিলে ৬৭ বলে গড়েন শতরানের জুটি। দু’জনের ব্যাট থেকেই সমান ৪৮ রান আসে পার্টনারশিপে। যা সিলেট স্ট্রাইকার্সের জয়ে রেখেছে বড় ভূমিকা।
তৌহিদ হৃদয় প্রথমবারের মতো বিপিএলের প্রেস কনফারেন্স রুমে এসে বললেন, কিভাবে শান্ত’র সঙ্গে জুটি এগিয়ে নিয়েছেন।
‘আমরা চেষ্টা করেছি দুই জনের একজন যেন ম্যাচটা ফিনিশ করতে পারি। আমাদের দুজনের ব্যাটেই বল ভালো লাগতেছিল এবং আমরা মাঝখানে কথাও বলতেছিলাম ম্যাচটা ক্লোজ করা যায়। যতটুকু যাওয়া যায় কাছে, চেষ্টা করছি।’
সিলেট স্ট্রাইকার্স শিবিরে আছেন দুই থিংক ট্যাংক ম্যাশ-মুশি। অভিজ্ঞদের পরামর্শ কি কি ছিল ম্যাচের মাঝে। হৃদয় বললেন,
‘প্রথম ইনিংস শেষে না আমাদের খেলার মাঝখানে আমাদের মুশফিক ভাই, মাশরাফি ভাই বলতেছিল উইকেট অনেক ভালো আছে। বল খুব ভালো ব্যাটে আসতেছে। এখানে যদি দুইশো রানও হয় টপকানো যাবে। আমরা সেটা সবসময় বিশ্বাস করেছি। এরপর ফার্স্ট ইনিংসের পর ড্রেসিংরুমে একটাই কথা হয়েছে যে আমরা এই ম্যাচ চেজ করব, ইনশাআল্লাহ। যদি আমরা শুরুটা ভালো করতে পারি।’
‘মাশরাফি ভাই আর মুশফিক ভাই যেভাবে প্ল্যান দিয়েছিল আমরা সেভাবেই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছি।’