সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুটি হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। আগের দুটি ম্যাচে ২০০ রানে পৌঁছাতে না পারলেও তৃতীয় ওয়ানডেতে ঝড় তুলেছে মিচেল মার্শের দল। তিন সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে চারশতাধিক রান করেছে সফরকারী দলটি।
ম্যাকয়ে প্রথম দুই ওয়ানডেতে ১৯৮ এবং ১৯৩ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয়টিতে ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ ও ক্যামেরন গ্রিনের সেঞ্চুরি এবং অ্যালেক্স ক্যারির ফিফটিতে অজিদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪৩১ রান। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার ওয়ানডেতে এক ইনিংসে তিন সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ওয়ানডে ইতিহাসে এক ইনিংসে তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরির পঞ্চম কীর্তি এটি। এরমধ্যে ৩ বার আছে সাউথ আফ্রিকার। ২০১৫ সালে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবার হাশিম আমলা, রিলি রুশো ও এবি ডি ভিলিয়ার্স সেঞ্চুরি করে কীর্তিটি গড়েন। একই বছর ওয়াংখেড়েতে ভারতের বিপক্ষে কুইন্টন ডি কক, ফ্যাফ ডু প্লেসিস ও ডি ভিলিয়ার্স দ্বিতীয়বার কীর্তিটি গড়েন। ২০২৩ বিশ্বকাপে দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডি কক, রসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম তৃতীয়বার একই মাইলফলক গড়েন। অন্য কীর্তি ইংল্যান্ডের। ২০২২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন ফিল সল্ট, ডেভিড মালান ও জস বাটলার।
ম্যাকয়ে টসে জিতে আগে ব্যাটে নেমে ২ উইকেটে ৪৩১ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডেতে দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। সর্বোচ্চ ৪৩৪ রান, ২০০৬ সালে জোহানসবার্গে প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই করেছিল অজিবাহিনী।
দুই ওপেনার হেড ও মার্শ অজিদের ভালো শুরু এনে দেন। ২৫০ রানের জুটি গড়েন। ৩৪.১ ওভারে হেড ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ১৭ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৩ বলে ১৪২ রান করেন তারকা ওপেনর। দু-ওভার পর আউট হন মার্শ। ৬ চার ৫ ছক্কায় ১০৬ বলে ১০০ রান করেন।
এরপর গ্রিন ও ক্যারি মিলে ইনিংস শেষ করেন। ৮১ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৬৪ রান যোগ করে দুজনে। ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করা গ্রিন ৮ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৫ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। অজিদের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি এটি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের, ৪০ বলে। ৭ চারে ৩৭ বলে ৫০ রান করেন ক্যারি।
প্রোটিয়াদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন কেশভ মহারাজ ও সেনুরান মুথুস্বামী।