এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
সিলেট থেকে: নুরুল হাসান সোহানের দানবীয় ব্যাটিংয়ে রংপুর রাইডার্সের কাছে হেরে যায় ফরচুন বরিশাল। ম্যাচ হারার পরপরই মাঠে মেজাজ হারিয়ে বসেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তেড়ে যান প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় অ্যালেক্স হেলসের দিকে। হেলস জানালেন আসলে কী ঘটেছিল সেসময়।
সোহানের অবিশ্বাস্য ইনিংসের পর জয় উদযাপন করছিল রংপুর রাইডার্স। তখন রংপুরের ওপেনার অ্যালেক্স হেলসের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায় তামিমকে। বরিশালের একজন টিম ডিরেক্টর তামিমকে টেনে সেখান থেকে সরিয়ে নেন।
সেই ঘটনার পর হেলস গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘তামিম কী নিয়ে বিরক্ত ছিল, তা আমি নিশ্চিত নই। হুট করেই সে আমার সামনে এসে বলল- যদি কিছু বলার থাকে, তাহলে সামনে এসে বলো। কিন্তু আমি তো কিছু বলিইনি। এরপর সে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলা শুরু করে। ২০২১ সালে আমি তিন সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলাম, কারণ তখন বিয়ার পান করেছিলাম। কিন্তু তামিম সেই প্রসঙ্গও টেনে এনে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক।’
একটি সূত্র অবশ্য বলছে, ম্যাচ শেষে সৌজন্যতা মূলক হাত মেলাতে গেলে তামিমকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মুখভঙ্গি করেন হেলস। তামিমের সেটা ভালো লাগেনি। তখন তামিম হেলসকে বলেন, ‘এরকম করছ কেন? কিছু বলার থাকলে মুখে বলো। বি আ ম্যান।’
এরপর হেলসও পেছন থেকে কিছু একটা বললে খেপে যান তামিম। তখন তেড়ে যান হেলসের দিকে। এরপর তামিমকে টেনে ধরেন রংপুরের টিম ডিরেক্টর শাহনিয়ান তানিম। ঘটনার শেষদিকে সেখানে রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকেও দেখা যায়। যদিও ম্যাচ শেষে সোহান বিষয়টি নিয়ে কিছু জানেন না বলেন। বলেন, ‘এটা আমি খুব কাছ থেকে দেখি নাই। এদিকে আসার পর দেখেছি, মানে শেষপর্যায়ে যখন গেছি। আমি আসলে যাওয়ার পর বুঝতে পারবো, কী নিয়ে হয়েছে। কিন্তু কিছু একটা হয়েছে আমিও এটা দেখেছি।’
বরিশালের ব্যাটিং কোচ নাফিস ইকবালের কাছে বিষয়টি সিরিয়াস কিছু নয়, এমন বলেছেন তামিমের বড় ভাই নাফিস। বলেছেন, ‘ম্যাচ হারলে ইমোশনটা থাকে, সিরিয়াস কোনকিছু না।’