মুস্তাফিজুর রহমানের লেংথ বল ওয়াইড লং অন দিয়ে প্রায় সীমানাছাড়া করে ফেলেছিলেন ব্লেসিং মুজারাবানি, প্রায় বলতে হচ্ছে কেননা দারুণ বুদ্ধিতে ছক্কা হওয়া থেকে বাঁচিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ঐ ছক্কা হলে জিম্বাবুয়েকে মেলাতে হতো ১০ রানের সমীকরণ।
শেষ ওভারে ১৪ রান ডিফেন্ড করতে এসেছেন সাকিব আল হাসান, আগের তিন ওভারে যিনি ২ উইকেট নিয়েছেন বটে; খরচ করেছেন ২৭ রান। তৃতীয় বলে ছক্কাও হজম করতে হয়েছে। কিন্তু ঐ যে বলা হয়, সাকিবের ক্রিকেট ব্রেন দেশের সেরা; সেই প্রমাণ মিলল পরের বলেই। ডাউন দ্য উইকেটে আসা মুজারাবানিকে স্টাম্পড করলেন, পরের বলে বোল্ড রিচার্ড এনগ্রাভা। ২৯৯ দিন পর ফিরে সাকিবের বোলিং ফিগার ৩.৪-০-৩৫-৪।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বর্তমান বাজারে ৬ ওভারে যখন ৫২ রান দরকার, আর ক্রিজে যদি রায়ান বার্লের মতো হিটার এবং জোনাথন ক্যাম্পবেলের মতো ইনফর্ম ব্যাটার থাকেন; যেকেউই জিম্বাবুয়ের পক্ষেই বাজি ধরবে। বাজির দর যখন জিম্বাবুয়ের পক্ষেই বেশি, পাশার দান উল্টে দেওয়ার কাজ করলেন “দ্য ওয়ান অ্যান্ড অনলি” মুস্তাফিজুর রহমান। ১৫ তম ওভারে মোটে দুই রান খরচ, বার্লের উইকেটসহ এক ওভারেই দুই উইকেট; মুহুর্তেই ম্যাচ বাংলাদেশের গ্রিপে।
কিন্তু হাতে থাকা ম্যাচ কিভাবে হাতছাড়া করতে হয় কিংবা অন্যের হাতে দিয়ে দিতে হয় বাংলাদেশ দলের চেয়ে তা আর কে-ই-বা বেশি জানে? ২০ বলে জিম্বাবুয়ের দরকার ৩৭ রান, মুহুর্তেই সেই সমীকরণ নেমে এলো ১৮ বলে ২৭ রানে; সাকিব আল হাসান তাঁর ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারের শেষ দুই বলে ১০ রান দেওয়ায়। কিন্তু সেই ওভারটাই বেশ দারুণভাবে শুরু করেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আক্রমণে ফিরেই সাকিব আউট করেছিলেন ইনফর্ম জোনাথন ক্যাম্পবেলকে। হারতে বসা ম্যাচ মুস্তা আরো একবার এনেছিলেন, ১৯ তম ওভারে এক উইকেট আর মোটে ৭ রান দিয়ে। সবমিলিয়ে ১৪৪ রানের টার্গেটে জিম্বাবুয়ে অলআউট ১৩৮ রানে, দুই বল বাকি থাকতে। ৫ রানে জিতে বাংলাদেশ সিরিজে এগিয়ে গেল ৪-০ ব্যবধানে।