ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে তাকসিম এ খানকে আরও এক মেয়াদ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ওয়াসার বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, তাকসিম এ খানের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানোর প্রস্তাব পাস হয়েছে। নিয়মানুযায়ী প্রস্তাবটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে যাবে। সেখান থেকে প্রস্তাবের সারাংশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।
প্রস্তাব গৃহীত হলে সংস্থাটির প্রধান হিসেবে এটি হতে যাচ্ছে তার সপ্তম মেয়াদ। এর আগে ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর পাঁচ দফায় বাড়ানো হয় মেয়াদ। এ পদে তার ষষ্ঠবারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ অক্টোবর।
১৯৯৬ সালে পাস হওয়া ‘ওয়াসা অ্যাক্ট’ অনুযায়ী পরিচালিত হয় ঢাকা ওয়াসা। এ আইনে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হচ্ছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ওয়াসা বোর্ডের প্রস্তাব বা সুপারিশ অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ পদে নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু একই ব্যক্তি একই পদে সর্বোচ্চ কতবার বা কত বছর নিয়োগ পেতে পারেন, এ বিষয়ে আইনে কিছু বলা নেই। ২০০৯ সালে প্রথম দফায় নিয়োগ পাওয়ার পর আর পদ ছাড়তে হয়নি তাকসিম এ খানকে।
জানা গেছে, তাকসিম এ খানের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে জোরালো সুপারিশ করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুজিত কুমার বালা। তিনি বোর্ডের সদস্যদের তাকসিমের গুরুত্ব ও দক্ষতা সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
বিভিন্ন সময় নানা কারণে আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন তাকসিম এ খান। অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন কমিশনে রয়েছে একাধিক দুর্নীতির মামলাও। ওয়াসার প্রধান থাকাকালে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি করেছেন। আবার টেকসই কোনো ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি এমন অভিযোগও করেন নগর বিশেষজ্ঞরা।
তার বেতন বৃদ্ধি নিয়ে নানা সময় বির্তক সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। গত ১২ বছরে এমডি পদের বেতন বেড়েছে ৪২১ শতাংশ। ফলে বর্তমানে তার মাসিক বেতন ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সর্বশেষ করোনা মহামারির মধ্যে একলাফে ওয়াসা এমডির বেতন বাড়ানো হয় পৌনে ২ লাখ টাকা।
এএআর/