#কলকাতা: ঢাকে পড়ল কাঠি। ট্যাংরার দাস বাড়িতে শুরু হয়ে গেল এ বছরের দুর্গাপুজো। ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে পুজো চলবে আগামী ১৬ দিন। আগামিকাল থেকে নিত্যপুজো হবে মহালয়া পর্যন্ত। একাদশী থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত হবে বিশেষ পুজো। এরপর সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত হবে মহাপুজো। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা নিরঞ্জন। আজ সকাল থেকেই পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই দাস বাড়ি গমগম করছে ধাকের বাদ্যিতে। বর্তমানে বাড়ির বাসিন্দারা আনন্দ পালিত রোডে থাকলেও পুজো হয় শীল লেনে, দাসদের দুই পুরুষের আদি বাড়িতেই। সেখানে বাড়ির দেবতা রাধা-কৃষ্ণের ঘরের পাশেই দুর্গাপুজোর জায়গা।
দাস পরিবারের দুই সন্তান। দিদি পেশায় চিকিৎসক মৌমিতা দাস এবং ভাই প্রসেনজিৎ দাস পেশায় ইঞ্জিনিয়র। মৌমিতার কথায়, ‘এই পুজোয় কোনও স্বপ্নাদেশ নেই। যেটা রয়েছে সেটা হল ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতিকে ধরে রাখা। ভারতীয় পরম্পরাকে আঁকড়ে থাকা, তার চর্চা করা। দুর্গা একদিনের নন, প্রতিদিনের পূজ্য। প্রতিটি সকালেই দুর্গা নাম উচ্চারণ করতে হয়। প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময়ে মা-ঠাকুমারা ‘দুর্গা-দুর্গা’ উচ্চারণ করেন।’ পুজো হয় কখনও রঘুনন্দনের ‘দুর্গোৎসব তত্ত্বের’ উপর ভিত্তি করে, কখনও বিদ্যাপতির লেখা ‘দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনী’র নিয়মানুসারে। কখনও পুজো হয় শূলপাণির লেখা ‘দুর্গোৎসব বিবেক’ অনুযায়ী৷ রঘুনন্দন বা বিদ্যাপতির চেয়েও প্রাচীন এই বই৷
আরও পড়ুনঃ চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ! আচমকা আবহাওয়া বদল! মহালয়ায় কেমন থাকবে আবহাওয়া, জানুন
সারা বছর দাস বাড়িতে রাধাকৃষ্ণের পুজো করেন অন্য পূজারী। দুর্গাপুজোয় অবশ্য পুরোহিতের ভূমিকায় থাকেন বাড়ির একমাত্র ছেলে প্রসেনজিৎ দাস। আগে পূজারী হিসেবে যোগ দিতেন তাঁর দিদি, পেশায় চিকিৎসক মৌমিতা দাসও। বিয়ের পরে অবশ্য মৌমিতা আর সেই ভূমিকায় নেই। প্রসেনজিৎ বলেন, ‘১১ বছর আগে আমি আর দিদি মিলে ঠিক করেন দুর্গাপুজো করব। তবে মহাপুজো নয়। তাঁরা পুজো শুরু করবেন কৃষ্ণপক্ষের নবমী থেকে। আরও ঠিক করি, পুজোর সব কাজ করব নিজেরাই। তারপর থেকেই চলছে।’
Published by:Shubhagata Dey
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।