ঢাকাই সিনেমায় সালমান শূন্যতার ২৯ বছর | চ্যানেল আই অনলাইন

ঢাকাই সিনেমায় সালমান শূন্যতার ২৯ বছর | চ্যানেল আই অনলাইন

ঢাকাই সিনেমার দর্শকপ্রিয় চিত্রতারকা সালমান শাহকে হারানো ২৯ বছর পূর্ণ হলো শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর)।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্র অঙ্গনে বড় শূন্যতা তৈরি করে বিদায় নেন এ নায়ক। এদিন তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত্যুর প্রায় আড়াই দশক পর পিবিআই নিশ্চিত করে, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেন। তবে মৃত্যুর এত বছর পরেও সালমান শাহর তারকাখ্যাতি সমুজ্জ্বল। তার পরবর্তীকালে যারা চলচ্চিত্রে নায়ক হওয়ার জন্য এসেছেন প্রায় প্রত্যেকেই বলেছেন, তাদের অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস সালমান।

প্রতি বছরের মতো এবারও সালমান শাহর প্রয়াণ দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করছেন সাধারণ দর্শক ভক্ত থেকে শোবিজ অঙ্গনের সহকর্মীরা।

সালমান শাহর পারিবারিক নাম শহীদ চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন। ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। সালমান ছিলেন পরিবারের বড় ছেলে।

মাত্র সাড়ে পাঁচ বছরের চলচ্চিত্রজীবনে ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা সালমান শাহ ঢাকাই সিনেমার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন।

১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মধ্য দিয়ে সিনেমাজগতে পা রাখেন সালমান শাহ। প্রথম ছবিই তাকে ঢালিউডের প্রথম শ্রেণির নায়ক করে তোলে। ক্রমশ অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন তিনি।

প্রথম ছবির পর থেকে সালমানের ক্যারিয়ারে একের পর এক যোগ হতে থাকে সাফল্যের পালক। প্রথম ছবিতে মৌসুমীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন। পরে শাবনূরের সঙ্গে সফল জুটি গড়ে ওঠে সালমানের। এসব জুটির একেকটি ছবি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হিসেবে আছে।

এ ছাড়া তার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন শাবনাজ, শাহনাজ, লিমা, শিল্পী, শ্যামা, সোনিয়া, বৃষ্টি, সাবরিনা ও কাঞ্চি। শেষ ছবিটি পর্যন্ত সমানতালে নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছিলেন সালমান শাহ। বাংলা চলচ্চিত্রের সাফল্যের রাজপুত্র হিসেবেও সালমানকে অভিহিত করা হয়।

Scroll to Top