ড. আবুল বারকাতের মুক্তির দাবিতে ১১৯ বিশিষ্টজনের বিবৃতি | চ্যানেল আই অনলাইন

ড. আবুল বারকাতের মুক্তির দাবিতে ১১৯ বিশিষ্টজনের বিবৃতি | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

অর্থনীতিবিদ, শিক্ষক, গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দেশের শিক্ষক সমাজ, চিন্তাশীল নাগরিক, গবেষক ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সম্প্রদায়ের ১১৯ জন বিশিষ্টজন নাগরিক।

রোববার ১৭ আগস্ট এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, দেশের স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ, শিক্ষক, গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অধ্যাপক বারকাত গত প্রায় ৪০ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন তিনি।

আমরা অধ্যাপক বারকাতের সরল-নির্মোহ প্রাত্যহিক জীবনযাপন দেখেছি এবং তার সম্পর্কে জানি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো হয়েছে; যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিপত্নীক, ৭২ বছর বয়সী অধ্যাপক বারকাত দীর্ঘদিন ধরে হার্ট, স্ট্রোক-পরবর্তী জটিলতা, ফুসফুসের সমস্যা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন কারণে দৈনিক তিনবেলা ওষুধ সেবন করেন। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির কারণে তাকে সপ্তাহে পাঁচ দিন ফিজিওথেরাপি নিতে হয়। অতীতে দুই বার নিওমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আমরা তার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার বিষয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। এ পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক বিবেচনায় তাকে অবিলম্বে জামিনে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

বিবৃতি দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন- অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল (আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী), খুশী কবীর (সমন্বয়কারী, নিজেরা করি), অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী (অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক এম এম আকাশ (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), স্বপন আদনান (ভিজিটিং প্রফেসর, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স এবং পলিটিকাল সাইন্স) অধ্যাপক মোনাওয়ার উদ্দিন আহমেদ (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক মো. ফেরদৌস হোসেন (অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), শামসুল হুদা (মানবাধিকারকর্মী, নির্বাহী পরিচালক,এএলআরডি), রাশেদা কে. চৌধুরী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী), অ্যাডভোকেট সালমা আলী (সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি) দীপায়ন খীসা (মানবাধিকারকর্মী ও আদিবাসী সংগঠক), সঞ্জীব দ্রং (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম), শিরিন হক (নারী অধিকারকর্মী, নারীপক্ষের সদস্য), শাহীন আনাম (নির্বাহী পরিচালক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন), ড. মোস্তাফিজুর রহমান (অর্থনীতিবিদ, সম্মানীয় ফেলো, সিপিডি), অধ্যাপক নাজমা বেগম (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক শামসুন নাহার আহমেদ (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক মাসুদা ইয়াসমিন (অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) সহ আরও ১০০ জন।

গত ১০ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডির ৩ নম্বর সড়ক এলাকা থেকে ড. আবুল বারকাতকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

Scroll to Top