ডিপিএলে সন্দেহজনক ‘আউট’, কোচের গুরুতর অভিযোগ

ডিপিএলে সন্দেহজনক ‘আউট’, কোচের গুরুতর অভিযোগ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
৯ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৫৪ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ০২:৩৬

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) এক দিনে অনেক ঘটনা! পারিশ্রমিক না পাওয়াতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা। একই দিনে ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন পারটেক্সের আনোয়ারুল মোস্তাকিম। একই দিনে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে দেখা গেল সন্দেহজনক ‘আউটে’র ঘটনা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ দিকে জয়ের জন্য ৬ রান দরকার ছিল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবে, হাতে তখন ১ উইকেট। এরপর শাইনপুকুরের ব্যাটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির যেভাবে আউট হয়েছেন সেটা দেখে ‘সন্দেহ’ জাগছে সকলেরই।

ব্যাটার মিনহাজুলকে এগিয়ে আসতে দেখে বোলার নাঈম ইসলাম ওয়াইড বল করেছিলেন। কিন্তু এগিয়ে আসা মিনহাজুল বল খেলার যেন তেমন চেষ্টাই করলেন না! বল উইকিপারের কাছে গেলেও ক্রিজে ব্যাট রাখার যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। প্রথম সুযোগে স্ট্যাম্প ভাঙতে পারেননি কিপার। পরের চেষ্টায় গিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙেছেন। তাতে ক্রিজে ফেরার যথেষ্ট সময় পেয়েছেন ব্যাটার। কিন্তু অদ্ভূতভাবে কেন জানি ক্রিজে বসে গেলেন ব্যাটার! ব্যাট ক্রিজে নিয়েও আবার যেন সরিয়ে নিলেন!

এমন সন্দেহজনক আউটে ম্যাচে জিতেছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। তাতে ডিপিএলের সুপার লিগ নিশ্চিত হয়েছে দলটির। অপর দিকে শাইনপুকুর আছে পয়েন্ট টেবিলের সবার শেষেই।

ডিপিএলে এমন আউট দেখে হতভম্ব অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এন অদ্ভূত আউটের ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে।

এদিকে, পাওনা ঠিকমতো না পাওয়াতে বিসিবির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে এসেছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা। অপর দিকে ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন দলটির কোচ আনোয়ারুল মোস্তাকিম। ‘ম্যাচ ফিক্সিং’এর অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

আনোয়ারুল মোস্তাকিম বলেন, ‘আমাদের অফিশিয়ালরা ইনস্ট্রাকশন দিয়েছে একরকম। তারা (ক্রিকেটাররা) খেলছে আরেক রকম। আমাদের অফিশিয়ালরা ইনস্ট্রাকশন দিচ্ছে, আমার দল ১০০ রানে অলআউট হয়ে যাক, কিন্তু ইতিবাচক খেলা চাই। কিন্তু ওরা গিয়ে নেগেটিভ ক্রিকেট খেলেছে। নেগেটিভ বলতে যেমন ধরেন ৫০ বল খেলে ১৮ রান। ওই ধরেন কেউ ৪০ বল খেলে ৫ রান। আমার অফিশিয়াল তো এটা গ্রহণ করেনি।’

পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ বলেন, ‘এটা শুধু (সন্দেহ) আমরা না। বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আসছে, এটা সন্দেহজনক, তোমাদের দলের খেলোয়াড়েরা এমন করছে কেন! এ রকম তো খেলার কথা না। যেখানে ২২০ রান তাড়া করছি, ২০ ওভারে ৩৭ রান। এটা তো সন্দেহজনক খেলা। আমি তো প্রমাণ ছাড়া কোনো কথা বলতে পারছি না। আমাকে অনেক খেলোয়াড় অনেক ফোন করছে, আপনার এই খেলোয়াড় ফিক্সিং করছে। এই খেলোয়াড় এটা করছে, ওটা করছে। আমার তো এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই, ফিক্সিংটা করে কীভাবে। কিন্তু এ রকম নেগেটিভ খেলা কেন!’

সারাবাংলা/এসএইচএস

ডিপিএল

Scroll to Top