চলমান ঈদ উৎসবে নাটক পাড়ায় তুমুল ঝড় তুলেছে জোভান অভিনীত ঈদের বিশেষ নাটক ‘আশিকি’। সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি মুক্তি পায় ৮ জুন রাতে। যা ইতিমধ্যে উঠে এসেছে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের এক নম্বরে!
নাটক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঈদে মুক্তি পাওয়া সব নাটকের জনপ্রিয়তা ও ভিউ ভেঙে দেবে সদ্য প্রকাশ হওয়া ‘আশিকি’।
নাটকটি মুক্তির আগেই জোভান অভিনীত একটি গানের ক্লিপ ভাইরাল হয়। নাটকে জোভানকে দেখা গেছে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে আশিক চরিত্রে। তার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য শহরে এসে একটি কলেজে ভর্তি হয়। ভালো গান করে, স্বপ্ন দেখে বড় গায়ক হওয়ার।
একই কলেজের শিক্ষার্থী ধনীর দুলালী জেস। কলেজে যার প্রভাবের অন্ত নেই। এই জেস চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাজনীন নিহা। আশিক-জেসের পরিচয় ও প্রেম এবং ঘরপালিয়ে বিয়ে- নাটকে বিষয়টি এরকম নয়! বরং এই গল্পে রয়েছে জটিল সব বাঁক। রয়েছে আনন্দ আর বিষাদের অসাধারণ মেলবন্ধন। রয়েছে অসাধারণ দুটি গানও।
সব মিলিয়ে এবারের ঈদে ‘আশিকি’ যেন মেলো-ড্রামাটিক এক সিনেমার স্বাদ নিয়ে হাজির হয়েছে ইউটিউব পর্দায়, মানুষের ঘরে ঘরে। সিএমভি’র ব্যানারে নির্মিত নাটকটি মুক্তি দুই দিনের মাথায় অতিক্রম করেছে ৫০ লাখ ভিউ-এর ঘর।
‘আশিকি’ নির্মাণ করেছেন ইমরোজ শাওন। পারভেজ ইমামের চিত্রনাট্যে নাটকটির সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন খায়ের খন্দকার।
‘আশিকি’ প্রসঙ্গে নির্মাতা জানান, নাটকটির মধ্য দিয়ে অনেকগুলো বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে। একজন শিল্পীর স্ট্রাগল এবং সেটি জয়ের গল্প যেমন আছে, তেমনি একজন ধনীর দুলালীর অসাধারণ এক প্রেমের বয়ানও রয়েছে।
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু বলেন, ‘আশিকি’ নাটকটি প্রকাশের পর থেকে দর্শক-সমালোচকদের পক্ষ থেকে যে সাড়া ও প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি, সেটি সচরাচর মেলে না। এক কথায় অনবদ্য সাড়া। বিশেষ করে দর্শকরা নাটকটি দেখার পর যে মন্তব্যগুলো করছেন, সেসব পড়লে এমন ভালো কাজ আরও করার আগ্রহ জন্মায়। আমি দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, এভাবে সাহস যোগাবার জন্য। আর ধন্যবাদ জানাই পুরো ‘আশিকি’ টিমের প্রতি। কারণ, নাটকটির এই সফলতার পেছনে মূল কারিগর তারাই।
নাটকটি দেখে হিমালয় হিমু নামের এক দর্শক মন্তব্য করেছেন, ‘এ ধরনের নাটক দেখলে, শত কিংবা হাজার কোটি টাকার সিনেমা দেখতে আর ইচ্ছে করে না। স্যালুট বাংলাদেশ।’ আলামিন হোসাইন লিখেছেন, ‘পুরাই ফাটিয়ে দিয়েছে, যা কল্পনাও করতে পারবে না কেউ। সুপার হিট।’ এমডি রমিম লিখেছেন, ‘ভালো লাগছে, গল্পটা ভালো ছিল। অ্যাটাক, কাউন্টার অ্যাটাক, পরে গিয়ে গল্পের মোড় ঘুরিয়ে, ফিনিশিংটা এক কথায় অসাধারণ!’
সজীব খান নামের একজন লিখেছেন, ‘ভাইরে ভাই ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ভাবছিলাম গতানুগতিক ধারার নাটক। থাপ্পড় খেয়ে তারপর রিভেঞ্জ। কিন্তু নাটকে এতো টুইস্ট। অবিশ্বাস্য ছিল। ঈদুল আজহাতে দেখা এখন পর্যন্ত সেরা নাটক।’
এভাবে ৮ হাজারের বেশি মন্তব্য যুক্ত হয়েছে নাটকটির ইউটিউব লিঙ্কের নিচে।
বিশেষ চমক হিসেবে এই নাটকের দৃশ্যে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কণাকেও দেখা গেছে! যা, দর্শকদের জন্য বাড়তি পাওনা বলেও মনে করছেন অনেকে।