আমাদের অনেক দাবির মধ্য থেকে কয়েকটা মাত্র আমরা চেয়ে আসছি বিগত কয়েক বছর ধরে। গত ২০-২১ অর্থবছরে একটিমাত্র দাবি পূরণ হয়েছে, সেটা হলো ই-লার্নিং ও অনলাইন প্রশিক্ষণের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার। বিগত তিন বছরে এই খাতে উদ্যোক্তার সংখ্যা ২০ থেকে ২০০–তে উন্নীত হয়েছে।
এবার আমাদের দাবি ছিল, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ফুলফিলমেন্ট সেন্টার, স্টোর হাউস ও সর্টিং সেন্টার ও পরিবহন খরচ প্রয়োজন, এই খরচ পণ্যের মূল্য নির্ধারণে প্রভাব ফেলে। তাই এটি রহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তা ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি–সংক্রান্ত ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অফিস ভাড়া ভ্যাটের আওতামুক্ত রয়েছে। ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের বেলায়ও এই সুবিধা প্রয়োজন।
যে সব লজিস্টিক বা পণ্য সরবরাহ প্রতিষ্ঠান অন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পণ্য সরবরাহ করে, তাদের ডেলিভারি চার্জের ওপর ভ্যাট অনধিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি, যা বর্তমানে ১৫ শতাংশ। কারণ, এটিও পণ্যমূল্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য ন্যূনতম কর শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অনলাইন শপ, ই-কমার্সের ক্ষেত্রে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে মার্চেন্ট, ভেন্ডর, সরবরাহকারী, যোগানদার, প্রস্তুতকারী, আমদানিকারককে তার পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তনের বাধ্যবাধকতা থাকায় মার্চেন্টরা ৩ থেকে ৭ শতাংশ অতিরিক্ত দাম দাবি করে। সাধারণ বা ভৌত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা প্রচলিত দোকান বা শপিংমলের ক্ষেত্রে এই বাধ্যবাধকতা না থাকায় পণ্যের দাম কম থাকে।
এর ফলে ক্রেতাদের একই পণ্য অনলাইন দোকান বা ই–কমার্স সাইট থেকে বেশি দামে কিনতে হয়। তাই আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪–এর ধারা ৫২(২) এবং বিধি ১৬ থেকে ই-কমার্সকে উৎস করকর্তনকারীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের অনুরোধ করছি, অন্তত ১০ বছরের জন্য হলেও।