ওয়াশিংটন, ০১ জুন – চলতি বছর দ্বিতীয় মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সবচেয়ে আলোচিত দপ্তর ছিল সরকারের দক্ষতা বিভাগ বা ডিওজিই। দপ্তরটি সরকারের ব্যয় কমানোর নামে লক্ষাধিক কর্মী ছাঁটাই করেছে।
ওই দপ্তরের আওতায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি। সমালোচকরা জানান, এতে বিশ্বের দরিদ্রতম জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ধনাঢ্য ও বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দাতাদের একজন বিল গেটস এর কড়া সমালোচনা করেন মে মাসের শুরুর দিকে। তাঁর মতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি অনুদান কমানোর মাধ্যমে বিশ্বের দরিদ্রতম শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে।
এসব কাজই হয়েছে যখন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের ইলন মাস্ক ওই বিভাগটির পরিচালক ছিলেন। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। চার মাস ওই দায়িত্ব পালন করেন মাস্ক।
দায়িত্ব ছাড়ার মুহূর্তে মাস্ককে বড় ধরণের ধাক্কা দিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। পত্রিকাটির দাবি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় নিয়মিত মাদক নিতেন ইলন মাস্ক। তিনি নিয়মিত কিটামিন, এক্সটাসি এবং সাইকেডেলিক মাশরুম সেবন করতেন। পত্রিকাটি জানিয়েছে, ডিওজিই’র দায়িত্ব নেওয়ার পরও তিনি মাদক গ্রহণ করতেন।
প্রশ্ন উঠেছে তবে কি মাদক নিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছেন মাস্ক?
প্রতিবেদনে বলা হয়, দায়িত্বে থাকার সময় তিনি মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের অপমান, এমনকি রাজনৈতিক সমাবেশে নাৎসি-সদৃশ স্যালুট প্রদর্শনের মতো ‘বিতর্কিত’ আচরণ করেছেন। হোয়াইট হাউসে বিদেশি নেতাদের সঙ্গে সংবেদনশীল বৈঠক এবং সরকারি বাজেট ছাঁটার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকালে মাস্ক এসব মাদকের প্রভাবে ছিলেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাস্ক প্রতিদিন প্রায় ২০টি বড়ি সঙ্গে নিয়ে চলাফেরা করতেন। কিটামিনের কারণে তার মূত্রথলিতে সমস্যাও দেখা দেয়। মাস্ক নিয়মিত অত্যধিক মাত্রায় কিটামিন সেবন করতেন। তবে তিনি এক সময় দাবি করেছিলেন তিনি দুই সপ্তাহে একবার ‘সীমিত পরিমাণে’ কিটামিন নেন।
গত বছর মাস্ক তাঁর ঘনিষ্ঠদের জানান, নিয়মিত কিটামিন সেবনের ফলে তার মূত্রথলিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদে ওই মাদক নিলে এমন সমস্যা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির (ডিইএ) মতে, কিটামিনের সাইকেডেলিক বৈশিষ্ট্য আছে। এটি বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা তৈরি করতে পারে।‘
বিদায়ী অনুষ্ঠানে শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনের ব্যাপারে সাংবাদিকরা মাস্ককে প্রশ্ন করেন। মাস্ক প্রশ্নে ক্ষুব্ধ হন।
মাস্ক বলেন, ‘নিউইয়র্ক টাইমস? সেটি কি সেই একই সংবাদমাধ্যম যা রাশিয়াগেট সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিল?’ তিনি প্রশ্নকে পাশ কাটিয়ে বলেন, ‘চলুন অন্য প্রসঙ্গে যাওয়া যাক।
সূত্র: বার্তা২৪.কম
আইএ/ ০১ জুন ২০২৫