রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধাবসানে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানাতে হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে যোগ দেবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার ১৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও দপ্তর হোয়াইট হাউসে হবে এ বৈঠক।
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনে যাওয়ার সময় ইউক্রেনীয় নেতার এই অস্তিত্বগত দ্বিধাদ্বন্দ্বের মুখোমুখি হচ্ছে। যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে আলাস্কায় ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি শীর্ষ সম্মেলনের পর, ট্রাম্প-জেলেনস্কির জন্য সুযোগ কমই রেখেছেন।
এরআগে, ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি এবং ট্রাম্পের মধ্যে তিক্ত বাক্যবিনিময়ের সূত্রপাত হয় এবং সাময়িকভাবে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
তবে এবার জেলেনস্কির সঙ্গে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদল। দলটির মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তিও রয়েছেন যাদের সাথে ট্রাম্পের দৃঢ় ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট এবং ফিনিশ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কী সুরক্ষা গ্যারান্টি দিতে ইচ্ছুক তা নিয়ে ট্রাম্পের কাছ থেকে স্পষ্ট বার্তা চাইবে এই সফরসঙ্গী।
গত শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার জন্য জেলেনস্কিকে রাশিয়ার কিছু শর্ত মেনে নিতে হবে – যার মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন ক্রিমিয়া ছেড়ে দেওয়া এবং কখনও ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হওয়া।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে গত সপ্তাহের শীর্ষ সম্মেলনে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হন এবং সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির অংশ হিসাবে ভূমি বিনিময় বিষয়ে ছাড় দেন।
জেলেনস্কি পরামর্শ দিয়েছিলেন, এই ধরনের গ্যারান্টি অতীতে “কাজ করেনি” তার চেয়ে শক্তিশালী হওয়া উচিত। রাশিয়া এখনও এই ধরনের চুক্তির কথা উল্লেখ করেনি।