ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর মস্কোর শেয়ার বাজারে দর বেড়েছে | চ্যানেল আই অনলাইন

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর মস্কোর শেয়ার বাজারে দর বেড়েছে | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্ক আরাপের ঘোষণায় মস্কো স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারের দর গড়ে ২.৭ শতাংশ বেড়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রস্তুত ছিল রাশিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার এক বক্তব্যে ইউক্রেনে নতুন করে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছেন। রাশিয়ার ওপর নতুন করে বড় ধরনের শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন। যা কার্যকর হলে রাশিয়ার যুদ্ধ চালানোর সক্ষমতায়ও আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার ১৫ জুলাই বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

“ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া ও আমেরিকা নতুন করে সংঘর্ষের দিকে এগোচ্ছে,” রাশিয়ান ট্যাবলয়েড মস্কোভস্কি কমসোমোলেটস তাদের সোমবারের সংস্করণে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে।

যেখানে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের সোমবারের চমক আমাদের দেশের জন্য সুখকর হবে না। সুখকর না হলেও এই ঘটনায় স্বস্তি পাচ্ছে রাশিয়া।

রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফার শুল্ক আরোপ মাত্র ৫০ দিনের মধ্যেই শুরু হবে। এটা মস্কোকে পাল্টা প্রস্তাব নিয়ে আসতে এবং নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন আরও বিলম্বিত করার জন্য যথেষ্ট সময় দেবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা রাশিয়ার প্রতি আরও কঠোর দৃষ্টিভঙ্গিই নির্দেশ করে। এছাড়া, এটি ভ্লাদিমির পুতিনের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরে অনীহার প্রতি তার হতাশাকেও প্রতিফলিত করে।

ক্রেমলিন বিশ্বাস করে যে তারা যুদ্ধক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। তারা জোর দিয়ে বলছে যে তারা শান্তি চায়, তবে তার নিজেদের শর্তে। যে শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা থেকে স্পষ্ট যে, এটি ঘটবে না।

মস্কোভস্কি কমসোমোলেটস সোমবার লিখেছে, মোহভঙ্গ একটি দ্বিমুখী রাস্তা। রাশিয়াও মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রেম থেকে সরে যাচ্ছে। ট্রাম্প স্পষ্টতই জাঁকজমকের ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করেন এবং তার মুখও খুব বড়।”

সোমবার দেওয়া বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ন্যাটো দেশগুলোর মাধ্যমে ইউক্রেনে “সর্বোচ্চ মূল্যের অস্ত্র” পাঠাবে আমেরিকা। একই সাথে ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করার চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর কঠোর শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন তিনি।

ওয়াশিংটনে ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটের সাথে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেছেন “আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে ইউক্রেন যা করতে চায় তা করতে পারে।”

Scroll to Top