ট্রাইব্যুনালে সালাহউদ্দিন আহমেদের অভিযোগ, শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্ত যারা

ট্রাইব্যুনালে সালাহউদ্দিন আহমেদের অভিযোগ, শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্ত যারা

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

গুমের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউসন বরাবর অভিযোগে জমা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাত জনসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে গুমের এই অভিযোগটি করা হয়েছে। শেখ হাসিনার পাশাপাশি অপর অভিযুক্তরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হক, র‍্যাবের সাবেক ডিজি বেনজির আহমেদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক ডিবি প্রধান মনিরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে অভিযোগটি দাখিল করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এসময় তার সাথে ছিলেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার নাসিরুদ্দিন আহমেদ অসীম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সহ বিএনপির আইনজীবীরা।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাকে আটক করা হয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদকে আটকের পর বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা করে মেঘালয় পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ গঠন করা হয়। এই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান।

তবে ভারত সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলে খালাস পান সালাহউদ্দিন। আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই বছরের ৮ মে সালাহউদ্দিন আহমেদ ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য আসাম রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। একপর্যায়ে ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত ১১ আগস্ট দিল্লি থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ।

Scroll to Top