ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বুধবার ৬ আগস্ট জামায়াত-শিবিরের এক কর্মসূচিতে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত রাজাকারদের ছবি ও নাম প্রদর্শনের প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল সাবেক শিক্ষার্থী।
তারা এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি, টিএসসিতে “৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না” শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত ৭ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর ছবি ও নাম প্রদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনা বীরশ্রেষ্ঠদের অপমান এবং জাতির আত্মত্যাগের সরাসরি অবমাননার সামিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর প্রথম হামলা এই বিশ্ববিদ্যালয়েই হয়েছিল, যেখানে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীরা প্রাণ হারান। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের প্রায় ৩০০ জন সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।
সাবেক শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এ ধরনের ঘৃণিত তৎপরতা স্পষ্ট করে দেয়, জাতির শত্রুরা এখনো সক্রিয়। যুদ্ধাপরাধীদের নামে টিএসসির মতো পবিত্র প্রাঙ্গণে প্রদর্শনী আমাদের বেদনাহত করে এবং চরম ধৃষ্টতার বহিঃপ্রকাশ।
তারা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও সজাগ ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে বর্তমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব ও মর্যাদা, এবং আমাদের পূর্বসূরিদের আত্মত্যাগ ও অর্জনকে অপমানিত হতে দেওয়া যাবে না। এই মহান দায়িত্ব আপনাদেরই পালন করতে হবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন, সৈয়দ বদরুল আহসান, ড. নীরু কামরুন নাহার, ড. ওমর সেলিম শের, ড. এবিএম নাসির, ড. আবু নাসের রাজীব, ড. মোহাম্মদ মাহমুদ হাসান, ড. শামীম আহমেদ, সুলতানা রহমান, হারুন আল রশিদ, অপর্ণা পাল, শাকিলুর রহমান, সরদার ফারুক, আবদুল্লাহ আল ইমরান, কে এম মাসুদ আলী, ফকরুল ইসলাম চৌধুরী, খালেদ আহম্মেদ শামীম, আব্দুল কাদের মিলু, মোহাম্মদ চৌধুরী বিপ্লব, আহম্মেদ হোসেন, রিয়াজ আহমেদ, আসমা হক, সোহানা আমিন, মাসুদুল ইসলাম, আলী নুর, সাইদুল ইসলাম, দেবরাজ দেব, মেহেরুন নাহার মেঘলা, সানজিদা আনোয়ার প্রীতি প্রমুখ।