‘জামায়াতের প্রার্থী ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের আহ্বান ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে’ | চ্যানেল আই অনলাইন

‘জামায়াতের প্রার্থী ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের আহ্বান ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে’ | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে ভালো ফলাফল অর্জনে তৃণমূল সংগঠনকে মজবুত করতে হবে। এলাকার প্রত্যেক বাড়ি-ঘরে সংগঠনের দাওয়াত, জামায়াতের প্রার্থী ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের আহ্বান পৌঁছে দিতে হবে। জামায়াতের রুকনগণকে (পুরুষ ও মহিলা) জানমালের কুরবানীতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

সোমবার (৪ আগস্ট) কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট উপজেলার রুকনদের (পুরুষ ও মহিলা) নিয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

দিনাজপুর জেলা আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও দিনাজপুর জেলা সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হকের সঞ্চালনায় বিরামপুর পৌরসভার থানা রোডস্থ বিরামপুর কমিউনিটি সেন্টারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে আবদুল হালিম বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার সারাদেশে গুম-খুনের রাজনীতি কায়েম করেছিল। ফ্যাসিবাদ আমলে গুম হওয়া অনেককে এখনও ফেরত পাওয়া যায়নি। জামায়াতের শীর্ষ ১১ জন নেতার কয়েকজনকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এবং কয়েকজনকে কারাগারে রেখে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী জেল-জুলুমের শিকার হয়েছিল। বাংলাদেশ কর্তৃত্ববাদী শাসকের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। জুলাই’২৪ এর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামী নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী ইতিবাচক রাজনীতি ও গঠনমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশবাসীর আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

সম্মেলনে জেলা ইউনিট সদস্যবৃন্দ উপজেলা আমীর ও সেক্রেটারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দিনাজপুর শহর, সদর উপজেলা, বিরল, কাহারোল ও বীরগঞ্জ উপজেলায় পৃথক পৃথক মহিলা রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

Scroll to Top