জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান পদে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব পদে এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার এবং সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হিসেবে কাজী ফিরোজ রশীদ নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর ইমানুয়েল পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত জাপার ১০তম জাতীয় কাউন্সিলে এ নেতৃত্ব নির্বাচন হয়। একই কাউন্সিলে নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন মো. মুজিবুল হক চুন্নু। নবনির্বাচিত নেতৃত্ব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন বলে জানানো হয়েছে।
কাউন্সিল শুরুর আগে মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু দেশবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কোনো বেআইনি কাজ করিনি। তবে নৈতিকভাবে কোনো ভুল বা ভ্রান্তি হয়ে থাকলে আমরা দলের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাই।’’
চুন্নু আরও বলেন, ‘‘আমরা বহুবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। অনেক সময় আমাদের বিভিন্নভাবে কটূক্তি করা হয়, কেউ স্বৈরাচার সহযোগী বা অন্য দলের সহযোগী বলে আখ্যা দেন। প্রায় চার বছর মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে হয়তো সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে।’’
তিনি সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, “জাতীয় পার্টি শান্তিপূর্ণভাবে রাজনীতি করে। আমরা একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক দল হিসেবে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। সব আইন ও নিয়ম মেনে আমরা কাজ করব।”
জাতীয় পার্টি (জাপা) বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি, দলটি ১৯৮৬ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে গঠিত হয়। ১৯৯০ সালের গণআন্দোলনে এরশাদের পতনের পর দলটি ক্ষমতার বাইরে থাকলেও বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের অংশীদার হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দলটির অভ্যন্তরে নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব ও বিভক্তি দেখা দিয়েছে, যার ফলে একাধিক অংশে বিভক্ত হয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এবারের জাতীয় কাউন্সিল সেই বিভক্তির একাংশের নেতৃত্ব পুনর্গঠনের উদ্যোগ।