জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ইঙ্গিত

জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ইঙ্গিত

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের সময় নিয়ে কাটছে না অনিশ্চয়তা। তবে ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ইঙ্গিত দিচ্ছে নির্বাচন আয়োজন করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার বিশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে ছয়টি কমিশন সংস্কার প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কও বিবেচনাধীন রয়েছে। এই সবকিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে। যে নির্বাচন আয়োজন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের অফিসের প্রতিনিধিত্বকারী প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেন, (নির্বাচনের) এখনও কোন টাইমলাইন তৈরি করা হয়নি। তিনি ইঙ্গিত দেন, ছয়টি কমিশনের (সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়ে কাজ শেষ হওয়ার) পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো অবস্থানে থাকবে।

এই ৬টি সংস্কার কমিশন আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। কমিশনগুলোকে সংবিধান, দুর্নীতিবিরোধী বিষয়, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং জনপ্রশাসনে সংস্কারের পরামর্শ দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

GOVT

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস্তবসম্মত টাইমলাইন কী হতে পারে সে বিষয়ে বারবার প্রশ্নের পর শফিকুল আলম ইঙ্গিত দিয়েছেন, (নির্বাচনের) প্রস্তুতি করার জন্য ৬ মাস খুব কম সময় হবে। আবার দুই বছর অনেক দীর্ঘ। এক বছর এটি (নির্বাচন) অনুষ্ঠিত করার জন্য কিছুটা কম সময়। তবে অবশ্যই দুই বছরের মধ্যে এটা কার্যকর হবে।

এতে আরও বলা হয় (সূত্র অনুসারে), আওয়ামী লীগ সরকার গত তিন মেয়াদে নির্বাচন পরিচালনা করে এবং ক্ষমতায় এসেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ অন্যান্য কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। পরবর্তী নির্বাচনে শেখ হাসিনার দলকে (আওয়ামী লীগ) নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে দেখা যেতেও পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের সাথে সম্পর্কের উন্নতির দিকে তাকিয়ে ইউনূস সরকার পরবর্তী আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে আলোচনার সম্ভাবনা দেখছেন যেখানে দুই নেতা যোগ দিতে পারেন। সামনে থাইল্যান্ডে বিমসটেক হওয়ার কথা, যার তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। এটি একটি সুযোগ হতে পারে। পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন সার্ক পুনর্গঠনের মাধ্যমে হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারতের সাথে সম্পর্কের প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক মিথস্ক্রিয়া অক্ষত থাকবে।

Chokroanimation

Scroll to Top