দিলারা চৌধুরী বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হলেও দুই দেশের মধ্যে তেমন কোনো যোগাযোগ নেই। এ কারণে প্রতিবেশী দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক আচরণগুলো অচেনা থেকে গেছে। তাই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ যখন শুরু হয়, তখন বাংলাদেশ সরকার পুরোপুরি অপ্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল। এখনো সেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
রোহিঙ্গা সংকট আবারও সামনে আনার জন্য অন্তবর্তী সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দিলারা চৌধুরী বলেন, অতীতের সরকার আরাকান আর্মির সঙ্গে ‘এনগেজমেন্ট’ বাড়ানোর চেষ্টা করেনি। বর্তমান সরকার যখন সেই আলাপটি তুলল তখন তাঁদের বিরুদ্ধে করিডর, বন্দর সম্পর্কিত দেশ বিক্রির অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক কূটনীতিক মোহাম্মদ সুফিউর রহমান। আলোচনায় তিনি মিয়ানমার-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রধান তিনটি বিষয়ে আলোকপাত করেন। মিয়ানমারের সাম্প্রতিক অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২৩ সাল থেকে প্রতিবছর দেড় লাখ রোহিঙ্গা দেশে ঢুকেছে। এভাবে চলতে থাকলে দ্রুতই রাখাইন এলাকা রোহিঙ্গাশূন্য হয়ে পড়বে। এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।