জলবায়ু দুর্যোগ মোকাবেলায় আর্থিক খাতের ভূমিকা কতটা জরুরি? | চ্যানেল আই অনলাইন

জলবায়ু দুর্যোগ মোকাবেলায় আর্থিক খাতের ভূমিকা কতটা জরুরি? | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

প্রতি বছর ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস পালিত হয়। মার্কিন সিনেটর গেলর্ড নেলসন কর্তৃক পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রস্তাবের ভিত্তিতে সর্বপ্রথম ১৯৭০ সালে দিবসটি পালন করা শুরু হয়।

ওই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দুই কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসে পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ জানায়। গণমানুষের সার্বিক অংশগ্রহণে আয়োজিত এমন সামাজিক প্রতিরোধ কর্মসূচিটি ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেয়।

পরবর্তী সময়ে, ১৯৯০ সাল থেকে আন্তর্জাতিকভাবে ধরিত্রী দিবস পালন করা শুরু হয়, যেখানে ১৪১টি দেশের প্রায় ২০ কোটি মানুষ অংশ নেয়। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৯৩টি দেশে ধরিত্রী দিবস পালিত হয়।

এটি শুধু একটি দিবস নয়, বরং দিনদিন এটি জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সবুজ পৃথিবী গঠনের অনন্য প্রতীক হয়ে উঠেছে। যেখানে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর অধিকতর দায়িত্বশীল আচরণ, আর্থিক খাতের জোরালো ভূমিকা ও জনগনের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি হয়ে পড়েছে।

এ বছর ‘আমাদের শক্তি, আমাদের গ্রহ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। যার মাধ‍্যমে বিশ্বজুড়ে সকলকে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের পেছনে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান করা হচ্ছে।

পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী উক্ত উৎস থেকে শক্তি উৎপাদন তিনগুণ বৃদ্ধি করতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান সমস্যাগুলোর পরিস্থিতিতে এই ধরণের বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে বৈশ্বিক শক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে।

বর্তমান বিশ্ব মানবতার বিপর্যয়, লাগামহীন যুদ্ধাবস্থা ও আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাইরে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাবের সম্মুখীন। এর একটি বড় কারণ বায়ুমন্ডলে কার্বনডাই অক্সাইডের ঘনত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

১৯৭৪ সালেও বায়ুমন্ডলে কার্বনডাই অক্সাইডের ঘনত্ব ছিল ৩৩০.১৯ পার্টস পার মিলিয়ন (পিপিএম), যা ৫০ বছরের ব‍্যবধানে বেড়ে ২০২৪ সালে ৪২৪.৬১ পিপিএম হয়ে গেছে। অথচ ২০০৯ সালে জাতিসংঘের কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলনকে ঘিরে তখনকার ঘনত্ব ৩৮৭.৬৪ পিপিএমকে প্রশমিত করে ৩৫০ পিপিএমে নামিয়ে আনার সপক্ষে বিশ্বব্যাপী গণজাগরণ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বিগত ১৫ বছরে অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের ফলে বায়ুমন্ডলে কার্বনডাই অক্সাইডের ঘনত্ব আরও ৩৮.৯৭ পিপিএম বেড়ে গেছে যা দিনদিন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকটকে প্রভাবিত করছে।

জলবায়ুর আকস্মিক পরিবর্তনের ফলে ২০২৪ সালকে ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ বছর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ বছর বায়ুমন্ডলে প্রাক-শিল্প বিপ্লবের চেয়েও তাপমাত্রা প্রায় ১.৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। এটি ২০৫০ সালে ২.০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২১০০ সালে ৪.০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে তখন পৃথিবী নামক গ্রহের অবস্থা কি হবে সেটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের ভাবনার অন্ত নেই।

২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবরে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় ১২০ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের উচ্চ ঝুঁকিতে ভুগছে। এই বিশালসংখ্যক জনগোষ্ঠী যাদের বেশিরভাগই তাপপ্রবাহ, বন্যা, হারিকেন এবং খরার মতো অন্তত একটি গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপদের সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে তাদের জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন হয়।

কিছুদিন আগে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্রুত উন্নয়ন এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অর্থনৈতিক এবং জীবন-মানের ক্ষতি হ্রাস করতে পারে। যেখানে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, সাধারণ মানুষ ও জনগোষ্ঠীকে আরও ভালোভাবে রক্ষা করার জন্য দ্রুততম ও ক্রমাগত উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি নির্দিষ্ট অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে হস্তক্ষেপ করা অপরিহার্য।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে অভিযোজন ক্ষমতা তৈরি করা একে অপরের পরিপূরক। অনুমান করা হয়েছে যে মাথাপিছু জিডিপিতে ১০% বৃদ্ধির ফলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি কমে যাবে। সুতরাং এই মুহূর্তে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে জনগণের অভিযোজন ক্ষমতা তৈরির জন্য দেশগুলোকে জলবায়ুসংক্রান্ত নীতিমালাসমূহও প্রণয়ন করতে হবে।

প্রতিবেদনে প্রতিটি দেশের নির্দিষ্ট পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়নের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ধনী দেশগুলোর উচিত তাদের বিদ্যমান অবকাঠামোগত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া। অন্যদিকে নিম্ন আয়ের দেশগুলো- যেখানে বেশিরভাগ অবকাঠামো এখনও উন্নত হচ্ছে, তাদের শুরু থেকেই টেকসইভাবে এটি নির্মাণের সুযোগ রয়েছে।

এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য ২০২২ সালের ভেতরে ন‍্যাপ গ্লোবাল নেটওয়ার্কের আওতায় বাংলাদেশসহ প্রায় ১২৯টি দেশ তাদের নিজস্ব ন‍্যাশনাল অ‍্যাডাপ্টেশন প্ল্যান (ন‍্যাপ) তৈরী করে। তবে সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, পৃথিবীর যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি জলবায়ু ঝুঁকিতে আছে তারমধ্যে শীর্ষ ১০-এ রয়েছে বাংলাদেশ, যা আবারও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য দিতে ২০১৪ সালে লিমায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ২০তম জলবায়ু সম্মেলনের সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ন্যাপ গ্লোবাল নেটওয়ার্ক। ন‍্যাপে বাংলাদেশকে ১১টি জলবায়ু এলাকায় ভাগ করে চরম উষ্ণতা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, নদ-নদী সৃষ্ট বন্যা, নদী ভাঙন, খরা, ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাস, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, আকস্মিক বন্যা, ভূমিধ্বস, তীব্র শীত, বজ্রপাত, শহরাঞ্চলের বন্যা এবং সমুদ্রের অম্লায়নসহ মোট ১৪টি ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়।

উক্ত ঝুঁকিসমূহকে মোকাবেলা করতে ৬টি প্রধান লক্ষ বাস্তবায়নের জন‍্য ১১০টি কর্মকাণ্ড পরিচালনার প্রস্তাব করেছে ন্যাপ, যেখানে ২০২৩ থেকে ২০৫০ পর্যন্ত মোট ২৩০ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু সহায়তা প্রত‍্যাশা করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আমাদের জন্য একটি নতুন প্রতিশ্রুতি নেওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। যেটি জলবায়ু ঝুঁকি প্রশমন ও প্রভাব মোকাবেলায় বহুপাক্ষিক জলবায়ু তহবিল (গ্রিন ফান্ড)। যেখান থেকে জলবায়ু অর্থায়নে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিতরণ করা হচ্ছে।

২০২৪ সালের একটি প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে জলবায়ু অর্থায়ন প্রবাহ ২০২১ ও ২০২২ সালের তুলনায় কমপক্ষে ছয়গুণ বৃদ্ধি পেতে হবে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। কিন্তু তার ফলস্বরূপ বাংলাদেশের মতো বিশ্বের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে কি ধরনের প্রভাব পড়ছে সেটি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য ২০০১ সালে বিশেষ জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের প্রয়াসে স্বাক্ষরিত বহুরাষ্ট্রীয় ‘কিয়োটো প্রোটোকল’ এর শর্তাবলী পরিপালন ও বাস্তবায়নে সকল পক্ষের আরও কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।

কিয়োটো প্রোটোকল শিল্পোন্নত দেশগুলোকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছিল। উক্ত প্রোটোকল ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম কার্যকরী হয়, যেটি পুরোপুরি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুত সময়কাল ছিল ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল। দুঃখের বিষয়, কিয়োটো প্রোটোকলটি কিছু কিছু উন্নত দেশ স্বাক্ষর করলেও তা নিজ নিজ দেশে বাস্তবায়ন করতে অনুমোদন করেনি।

আবার কিছু উন্নত দেশ বিপুল অংকের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি উপেক্ষা করতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করার পরেও তা প্রত‍্যাহার করে নেয়। ফলে বারবার গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন হ্রাসের প্রতিশ্রুত লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনের পথ রুদ্ধ হচ্ছে। ফলে স্বল্পোন্নত ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হিমশিম খেতে শুরু করেছে।

যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০-২০১২ সময়কালের জন্য বনায়ন এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বিনিয়োগসহ নতুন এবং অতিরিক্ত সম্পদ সরবরাহ করার লক্ষে উন্নত দেশগুলোর ‘ফাস্ট-স্টার্ট ফাইন্যান্স মডিউল’ নামক সম্মিলিত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহায়তার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

উন্নত দেশগুলোর উক্ত প্রতিশ্রুতি অর্জনের জন্য প্রদত্ত সম্পদ সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করে যার মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষগুলো কীভাবে এই সম্পদগুলো অধিকার করবে তাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ অর্থবছরে, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ জলবায়ু অর্থায়নে ৪২.৬ বিলিয়ন ডলার প্রদান করে, যা তাদের মোট অর্থায়নের ৪৪ শতাংশ ছিল।

সেখানে স্বাস্থ্যসেবা, ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন এবং জলবায়ু সহনশীলতা প্রচারের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক থেকে ১.১৬ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের গ্রিন ও জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন ঋণ, ৩৭৯ মিলিয়ন ডলারের স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং জনসংখ্যা খাত উন্নয়ন কর্মসূচি এবং ২৮০ মিলিয়ন ডলারের চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন প্রকল্প।

এছাড়াও, অন্যান্য ঋণদাতারাও বাংলাদেশের জলবায়ু এজেন্ডাকে সমর্থন করার জন্য তাদের তহবিলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বরাদ্দ করছে। যেখান থেকে গ্রিন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকসমূহ আরও বেশি উদ্যোগী হয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবেশবান্ধব শিল্প, গ্রিন বিল্ডিং ও কৃষিভিত্তিক টেকসই প্রকল্পে ঋণ প্রদান করে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে সহায়ক হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে টেকসই অর্থায়নে দেশের ৬১টি ব্যাংক এবং ৩৪টি এনবিএফআইয়ের সম্মিলিত অবদান ছিল ১.১৬ ট্রিলিয়ন টাকা, যা প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ২৮১.০৩ বিলিয়ন টাকা বেশি। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে টেকসই অর্থায়নে ব্যাংকগুলো ১.১৩ ট্রিলিয়ন টাকা এবং এনবিএফআইগুলো ২৯.৯২ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করেছে।

গত বছর নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে ২০২৫ সাল থেকে ব্যাংকগুলিকে তাদের মোট ঋণের ৪০ শতাংশ পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই উদ্যোগের লক্ষে বেসরকারি খাতে জন্য বিনিয়োগ করবে। যার মধ্যে ৫ শতাংশ অবশ্যই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগে যেতে হবে।

ইতিমধ্যে গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধি, কাগজবিহীন ব্যাংকিংয়ের প্রসার এবং ডিজিটাল লেনদেনের বিপ্লব ঘটিয়ে বাংলাদেশের বেশকিছু ব্যাংক পরিবেশ সংরক্ষণের পথকে সুগম করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তবে সেটা হওয়া উচিৎ প্রতিটি ব‍্যাংকে, প্রতিটি কর্মস্থলে যা আমাদের পরিবেশের উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ কমাবে।

বিশ্ব ধরিত্রী দিবস- পৃথিবী ও প্রকৃতি রক্ষার শপথ গ্রহণের দিন। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে হলে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। টিকে থাকার লড়াইয়ে শামিল হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় প্রকৃতি ও পরিবেশ ধবংসের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে সবাইকে।

(এই বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)

Scroll to Top