জয়িতার দ্বন্দ্ব মেটেনি, ফুডকোর্টে এসির ঠান্ডা নেই, উদ্যোক্তাদের হাঁসফাঁস

জয়িতার দ্বন্দ্ব মেটেনি, ফুডকোর্টে এসির ঠান্ডা নেই, উদ্যোক্তাদের হাঁসফাঁস

ফারহানা আফরিন, নার্গিস মাসুদ, মোসা. আফসানা হক তুলিসহ কয়েকজন উদ্যোক্তা বলেন, তাঁরা নতুন টাওয়ারে স্থানান্তরিত হতে চান। সরাসরি ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করতে চান।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বলেন, বিগত সরকারের ‘আশীর্বাদপুষ্ট’ উদ্যোক্তারা জয়িতাতে একতরফাভাবে ব্যবসা করছেন। অনেকে স্টল নিয়ে অন্যজনের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। তাঁদের সব পণ্যের মানও ভালো নয়। গত ১৩ বছরে এই উদ্যোক্তাদের পেছনে সরকারের ৪২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এখন সরকার চায়, তৃণমূল থেকে যোগ্য নারীরা যেন তাঁদের পণ্য জয়িতাকে দিতে পারেন। কাউকে আলাদা করে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হবে না।

স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউরের (এসওপি) মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে উদ্যোক্তাদের পণ্য নেওয়া হবে। জয়িতা যেন আড়ং বা ইউনিমার্টের মতো রপ্তানিযোগ্য মানের পণ্য বিক্রি করতে পারে। পুরোনো উদ্যোক্তাদের পণ্য নেওয়া হবে না, সেটা বলা হয়নি। কিন্তু তাঁরা কোনো প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে চান না। একচেটিয়া ব্যবসা করতে চান। তাঁরা চরম অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন।

ওই কর্মকর্তারা আরও বলেন, সরকার জয়িতার বিদ্যুৎ বিল ও স্টল পরিচালনার খরচ বহন করে। সরকারকে স্টলপ্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে ভাড়া দেওয়ার কথা, কিন্তু সেই ভাড়াও তাঁরা দেন না। উদ্যোক্তাদের কাছে ভাড়া বাবদ সরকারের পাওনা আছে ৫৪ লাখ টাকা।

Scroll to Top