জবিতে দুই দলের সংঘর্ষে সহকারী প্রক্টর লাঞ্ছিত | চ্যানেল আই অনলাইন

জবিতে দুই দলের সংঘর্ষে সহকারী প্রক্টর লাঞ্ছিত | চ্যানেল আই অনলাইন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইদলের সংঘর্ষে সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) জবির শহীদ সাজিদ ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ জবি শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ, মুখপাত্র ফেরদৌস শেখ ও শিক্ষার্থী ফারুক। তবে ছাত্রলীগের সঙ্গে ফারুকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন শাখা ছাত্রদলের নেতারা।

সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমার গায়ে হাত তুলেছে এটা সত্য। তবে তার রাজনৈতিক পরিচয়ে আমি অনিশ্চিত। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই সব পরিষ্কার হবে। দুইপক্ষ যখন দু’দিক থেকে মারামারি করছিল, তখন আমি সহকারী প্রক্টর হিসেবে তাৎক্ষণিক সমাধান করতে গেলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে একজন আমার ওপর হামলা করে। আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্যারকে জানিয়েছি। লিখিত অভিযোগও দিব আমি।”

এ ঘটনায় রাতের বেলা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে তিন দফা দাবি উত্থাপন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দ। তাদের তিনদফা দাবি গুলো: ছাত্র এবং শিক্ষকদের উপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, সরাসরি জড়িতদের বহিষ্কার করতে হবে এবং ক্যাম্পাস নিরাপদ করার লক্ষ্যে নিরাপত্তা সেল গঠন করতে হবে। ক্যাম্পাসে অছাত্র এবং বহিরাগতদের প্রবেশ সীমাবদ্ধ করতে হবে।

হামলা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতারা বলেন, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতারা এক ছাত্রলীগ নেতাকে ক্যাম্পাসে পুনর্বাসনের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছেন। মারধরের ঘটনা নিয়ে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে।

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, আমরা সাংগঠনিক আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ দেখতে পাই, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন শহীদ সাজিদ ভবনের নিচতলায় আমাদের সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফারুকের ওপর অতর্কিত হামলা করে। ফারুক ছাত্রলীগকে শেল্টার দিচ্ছে অভিযোগ করে তার কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে মারধর করে। পরে আমি সেখানে জিজ্ঞেস করতে গেলে তারা আমার অণ্ডকোষে লাথি মারে, ফেরদৌসকেও লাথি দেয়। পরে আবার দ্বিতীয় দফায় তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ফেরদৌস শেখ (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নেতা) আগে ছাত্রদল কর্মী থাকলেও বর্তমানে সে অন্য সংগঠনের পোস্টেড নেতা। ওই সংগঠনের নির্দেশনায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্রলীগের এক নেতাকে তারা ক্যাম্পাসে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিচ্ছে। আমাদের কাছে সেটা উচিত বলে মনে হয়নি। আর তারা যে হামলার কথা ছড়াচ্ছে তা সম্পূর্ণ অবান্তর কথাবার্তা। আমরা ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ঘটনা শোনা মাত্রই আমরা পুরো প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। সবার অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তের মাধ্যমে বিচার করা হবে৷

ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মো. মোশাররাফ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে বলেও জানা যায়।

 

Scroll to Top