জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতেই একটি চকচকে রহস্যময় বাক্সের হদিশ পেয়েছিলেন দুই পর্বতারোহী, বাক্স খুলতেই তো চক্ষু চড়কগাছ ! কী ছিল তাতে?

জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতেই একটি চকচকে রহস্যময় বাক্সের হদিশ পেয়েছিলেন দুই পর্বতারোহী, বাক্স খুলতেই তো চক্ষু চড়কগাছ ! কী ছিল তাতে?

Last Updated:

How Hidden Treasure Found in Forest: চারদিকে সবুজের সমারোহ যেন তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলেন তাঁরা। কিন্তু এ কী! আচমকাই দেখলেন, বিশাল পাথরের চাঁইয়ের খাঁজ থেকে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে একটি রহস্যজনক অ্যালুমিনিয়ামের বাক্স। তা-ও চকচক করছে।

বাক্স খুলতেই তো চক্ষু চড়কগাছ ! কী ছিল তাতে? (Credit-Museum of Eastern Bohemia)
জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতেই একটি চকচকে রহস্যময় বাক্সের হদিশ পেয়েছিলেন দুই পর্বতারোহী, বাক্স খুলতেই তো চক্ষু চড়কগাছ ! কী ছিল তাতে?
বাক্স খুলতেই তো চক্ষু চড়কগাছ ! কী ছিল তাতে? (Credit-Museum of Eastern Bohemia)

জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাঁটছিলেন দুই পর্বতারোহী। চারদিকে সবুজের সমারোহ যেন তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলেন তাঁরা। কিন্তু এ কী! আচমকাই দেখলেন, বিশাল পাথরের চাঁইয়ের খাঁজ থেকে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে একটি রহস্যজনক অ্যালুমিনিয়ামের বাক্স। তা-ও চকচক করছে। আর দেখামাত্রই কৌতূহল যেন আষ্টেপৃষ্টে চেপে ধরে। বাক্সের মধ্যে কি গুপ্তধন আছে? এই প্রশ্ন আর প্রত্যাশা নিয়েই এগিয়ে যান তাঁরা। কিন্তু বাক্স খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ!

আসলে চেক রিপাবলিকের কারকোনোশে পর্বতারোহণ করতে গিয়েছিলেন দুই পর্বতারোহী। অবশ্য নিজেদের নাম প্রকাশ্যে আনতে চাননি তিনি। বাক্স খুলেই তাতে থাকা জিনিসপত্র দেখেই সেগুলি নিয়ে দৌড় লাগিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর আর্কিওলজিক্যাল বিভাগের বিজ্ঞানীদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বাক্সের মধ্যে থাকা সামগ্রী।

কিন্তু কী ছিল সেই বাক্সের মধ্যে?

সিএনএন-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, শুধুমাত্র একটাই জিনিস নয়, ওই বাক্সে মিলেছিল গোটা গুপ্তধন। তাতে পাওয়া গিয়েছিল ১০টি সোনার ব্রেসলেট, ১৭টি সিগারের বাক্স, একটি পাউডার কমপ্যাক্ট, একটি চিরুনি। তবে সবথেকে যে চমকপ্রদ জিনিসটি মিলেছিল, সেটা হল ৫৯৮টি সোনার মুদ্রা। শুধু সোনার জিনিসেরই ওজন ছিল ৮ পাউন্ড। অর্থাৎ ৩.৭ কিলোগরাম। আর এই স্বর্ণমুদ্রার মূল্য ছিল প্রায় ৮০ লক্ষ চেক কোরুনা। অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি টাকার কাছাকাছি। এছাড়া বাক্সে পাওয়া সিগার বাক্সগুলি এখনও খোলা যায়নি। তার ভিতরে কোন রহস্য লুকিয়ে আছে, সেটা এখনও কেউ জানেন না।

কীভাবে মিলল সেই গুপ্তধনের রহস্যময় বাক্স?

ট্রেকিংয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে বেরিয়েছিলেন দুই পর্বতারোহী। জঙ্গলের সংক্ষিপ্ত পথ অবলম্বন করেছিলেন তাঁরা। তখনই তাঁরা ওই রহস্যজনক বাক্সটির সন্ধান পান। আর বাক্সটি খুলেই দেখেন যে, তাঁর মধ্যে রয়েছে সোনা আর রুপোর একাধিক সামগ্রী। সেগুলি পাওয়ামাত্রই নিকটবর্তী শহর হ্রাডেক্স ক্রালোয়ের ইস্ট বোহেমিয়া মিউজিয়ামে গিয়ে ওই গুপ্তধনের বাক্স তুলে দেন দুই পর্বতারোহী। জাদুঘরের আর্কিওলজি বিভাগের প্রধান মিরোস্লাভ নোভাক বলেন যে, কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই ওই দুই ভ্রমণার্থী বিশেষজ্ঞদের কাছে পৌঁছেছিলেন। এরপরে আমাদের টিম ওই বাক্সটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে।

(AI Generated)

(AI Generated)

রহস্য নিরসনের প্রয়াস:

দেখে মনে হচ্ছে, ওই গুপ্তধন বহু প্রাচীন। ১৯২১ সাল মুদ্রার উপর খোদাই করা দেখা গিয়েছে। এর অর্থ হল এটি প্রায় ১০০ বছরের পুরনো। নোভাকের বিশ্বাস যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে অথবা ১৯৪৫ সাল নাগাদ ওই গুপ্তধন লুকানো হয়েছিল। আর বিশেষ বিষয় হল, ওই গুপ্তধনে একটি মুদ্রাও কিন্তু স্থানীয় নয়। অর্ধেক মুদ্রাই বলকান অঞ্চলের। আর বাকি মুদ্রাই ফ্রান্সের। আবার কিছু কিছু মুদ্রায় প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়ার নিশান রয়েছে। যা ১৯২০ সাল থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে বানানো হয়েছিল। স্থানীয় মানুষেরা ভিন্ন ভিন্ন কথা বললেন। তাঁদের দাবি, কুকস এস্টেটের ধনশালী Svirts-Shpork পরিবারই এই গুপ্তধনের মালিক। কেউ কেউ আবার দাবি করেন যে, চেকোস্লোভাক সৈন্যরা এগুলি লুঠ করেছিলেন।

বর্তমানে এই গুপ্তধন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। বন্ধ থাকা সিগারের বাক্স খোলার পর এবং অন্যান্য সামগ্রীর ধাতব অংশ পরীক্ষা করেই এর আসল মূল্য ঠাহর করা সম্ভব হবে। চেক আইন অনুযায়ী, ওই গুপ্তধন আসলে স্থানীয় প্রশাসনের সম্পত্তি। কিন্তু এর মূল্যের উপর ভিত্তি করে পুরস্কারও পাবেন ওই দুই পর্বতারোহী।

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/

জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতেই একটি চকচকে রহস্যময় বাক্সের হদিশ পেয়েছিলেন দুই পর্বতারোহী, বাক্স খুলতেই তো চক্ষু চড়কগাছ ! কী ছিল তাতে?

Scroll to Top