টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আল-কারীম দারুল উলুম আজাদী মাদ্রাসার ১১ বছরে ছাত্র বলাৎকারের মামলায় আলোচিত মাদ্রাসা শিক্ষক ওয়ালী উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামালপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম রেজাউল করিম।
গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক উয়ালিউল্লাহ পাবনার চাটমোহরের ধানবিলা গ্রামে মাওলানা মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামের ছেলে।
রেজাউল করিম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তকে জামালপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত যৌন নির্যাতনের বিষয়টি শিকার করেছেন। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক উয়ালিউল্লাহকে আটক করতে পুলিশ তৎপরতা চালায়। তবে বার বার স্থান পরিবর্তন করায় তাকে আটক করতে বেগ পেতে হয় পুলিশের।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, আল-কারীম দারুল উলুম আজাদী মাদ্রাসার শিক্ষক ওয়ালি উল্লাহ গভীর রাতে ঘুমন্ত শিশুদের নানা অজুহাতে তার কক্ষে নিয়ে যেতেন। নির্যাতনের শিকার শিশুটিকেও একাধিকবার তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নানা যৌন নিপীড়ন মূলক কাজে বাধ্য করেন। গত ২৪ জুলাই শিশুকে যৌন নির্যাতন করেন ওয়ালী উল্লাহ।
‘‘বিষয়টি অন্য সহপাঠীদের কাছে জানালে তা প্রকাশ্যে চলে আসে। জামিয়া আরফান আলী মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক ও ইসলামী আন্দোলন ভূঞাপুর উপজেলার সভাপতির মুফতি আসাদুজ্জামান শামীমের নেতৃত্বে এক একটি প্রভাবশালী মহল সালিসি বৈঠক করেন। বৈঠকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময় এবং পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা একটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ভুক্তভোগীর অভিভাবকের স্বাক্ষর নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়। এমনকি, ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের মব সৃষ্টি করে শায়েস্তার হুমকি দেয় এই প্রভাবশালী মহল।’’
যেহেতু অপরাধটি সালিশযোগ্য অপরাধ নয় তাই সালিসি বৈঠকে কেউ জড়িত থাকলে তা তদন্তে প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন পরিবার ও এলাকাবাসী।