চট্টগ্রাম টেস্টে ক্যাচ মিস করার মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশ। টাইগারদের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বোলারদের জন্যই কিছুই নেই। উইকেট পুরোদস্তুর ব্যাটিং সহায়ক। এমন উইকেটে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে চাইবে যেকোনো অধিনায়কই। শুক্রবার লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও ভূল করেননি, টসে জিতে নিয়েছেন ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত। তাকে হতাশ করেননি দলের ব্যাটাররাও।
শ্রীলঙ্কার প্রথমসারির ৭ ব্যাটারের মধ্যে একমাত্র অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ছাড়া প্রত্যেকেই করেছেন ফিফটি। লঙ্কান ব্যাটাররা চাইলে নিজেদের দূর্ভাগা ভাবতেই পারেন, বিশেষ করে দিমুথ করুণারত্নে, কামিন্দু মেন্ডিস ও কুশল মেন্ডিস। দুজনের সামনেই ছিল সেঞ্চুরি করার সুবর্ণ সুযোগ কিন্তু তিন অঙ্কের ঘর ছোঁয়া হয়নি তাদের।
লঙ্কান ব্যাটাররা যদি ভাল শুরু পেয়েও সেঞ্চুরি করার আক্ষেপে পুড়েন। তাহলে নাজমুল হোসেন শান্ত-মাহমুদুল হাসান জয়রা ক্যাচ মিসের আক্ষেপে পুড়ছেন তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। চট্টগ্রাম টেস্টের দুইদিন মিলিয়ে টাইগার ফিল্ডাররা ছেড়েছেন প্রায় অর্ধডজন খানেক ক্যাচ।
শনিবার ৪ উইকেটে ৩১৪ রানে দিন শেষ করা দুই ব্যাটার দীনেশ চান্দিমাল এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভা এদিনও শুরু থেকেই অনায়াসে খেলতে থাকেন। টাইগাররা কোনো প্রতিরোধ তো গড়তে পারেইনি, উল্টো দুজন মিলে গড়েছেন ৮৬ রানের জুটি। দুজনই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ১০৪ বলে ৫৯ রান করা চান্দিমালকে ফিরিয়ে দ্বিতীয়দিনে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন সাকিব। এরপর অধিনায়ক ধনাঞ্জয়াকে ফিরিয়েছেন খালেদ আহমেদ।
প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা কামিন্দু মেন্ডিস চট্টগ্রামেও করেছেন দুর্দান্ত ব্যাটিং। টাইগার বোলারদের খুব সাবলীলভাবে সামাল দিয়েছেন তিনি। ধনাঞ্জয়ার পর প্রবাত জয়াসুরিয়াকে নিয়ে গড়েছেন ৬৫ রানের জুটি। ৭৫ বলে ২৮ রান করা জয়াসুরিয়াকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন সাকিব।
সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল কামিন্দু মেন্ডিসের সামনে কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। শেষ পর্যন্ত ৯২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ২টি উইকেট শিকার করেছেন হাসান মাহমুদ। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।