‘চীনের সঙ্গে শুল্ক বিরোধে এখনই চুক্তি নয়, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত’ | চ্যানেল আই অনলাইন

‘চীনের সঙ্গে শুল্ক বিরোধে এখনই চুক্তি নয়, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত’ | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা দুই দিনের আলোচনায় অংশ নিয়ে গঠনমূলক বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, তারা ৯০ দিনের শুল্ক আরোপ বিষয়ক সিদ্ধান্তের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ওপর।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

চীনের বাণিজ্য আলোচক লি চেংগাং জানিয়েছেন, বেইজিং ও ওয়াশিংটন উভয়ই শুল্ক কমানোর মেয়াদ রক্ষায় সম্মত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের আওতায় দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে আরোপিত কিছু শুল্ক সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে।

স্কটল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “চীনের সঙ্গে বেশ ভালো একটা বৈঠক হয়েছে। আগামীকাল আমাকে বিষয়টি নিয়ে ব্রিফ করা হবে।”

ট্রাম্প  চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানো শুরু করেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও শুল্ক আরোপ করে। এক পর্যায়ে শুল্কের হার তিন অঙ্কে পৌঁছায়। পরে গত মে মাসে সাময়িক একটি ট্রেড ট্রুসি হয়।

এর ফলে বছরের শুরু থেকে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ থাকে, আর চীনে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে নতুন করে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, আগামী ১২ আগস্টের মধ্যে যদি এই শুল্ক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ না বাড়ানো হয়, তাহলে শুল্ক আবারও ফিরে আসবে।

“কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি যতক্ষণ না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সবকিছু দেখছেন,” বলেন বেসেন্ট। “বৈঠকগুলো ছিল খুবই গঠনমূলক। আমরা এখনো স্বাক্ষরের পর্যায়ে যাইনি,” বলেন তিনি।

শুল্ক ইস্যু ছাড়াও একাধিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি চীনা কোম্পানি বাইটডান্স যেন টিকটক একটি মার্কিন কোম্পানিকে বিক্রি করে এবং চীন যেন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রপ্তানির গতি বাড়ায়।

 

Scroll to Top