এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বিনিয়োগ সংলাপে অংশ নিয়েছেন।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১২টায় বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত বেইজিংয়ের দ্য প্রেসিডেনশিয়াল হোটেলে এ সংলাপ শুরু হয়।
;
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাত্র ৮ মাস আগেই বাংলাদেশে একটা বড় ধরনের রূপান্তর ঘটেছে। ভয়ঙ্কর সব বিষয় থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটেছে। তরুণদের কারণে পরিপূর্ণ একটি দেশ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। তরুণরা নতুন বাংলাদেশ তৈরির কথা বলছে। শুধু ব্যবসার জন্য না, পরিবর্তনের অংশ হতে আপনাদের এই নতুন বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ এবং প্রতিদিন তা আরও বাড়ছে। ১৭ কোটি মানুষের বসবাস এখানে। এই জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষের বয়স ২৭ বছরের নিচে। তারা সবধরনের অপ্রত্যাশিত কাজ করতে প্রস্তুত, যা কেউ কোনোদিন কল্পনা করতে পারেনি। বাংলাদেশের এটি একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়।
বাংলাদেশ খুব চমৎকার একটি লোকেশনে অবস্থিত জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে নেপাল, ভুটানকে যদি অবস্থান করতে হয়, তাহলে তাদের বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। তাদের পণ্য বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পাঠাতে হয় এবং আনতে হয়। ভারতের সেভেন সিস্টার্স, নেপাল, ভুটানকে ব্যবসা করতে হলে বাংলাদেশের উপর দিয়েই করতে হয়। সুতরাং শুধু বাংলাদেশের নিজের জন্য না অন্যদের জন্য এটি হচ্ছে একটি পথ।
তিনি বলেন, আপনারা এই অঞ্চলে ব্যবসা করে সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। যাতে আমরা এখানে একটি প্রডাকশন হাব করতে পারি। যদি আপনারা সংযোজন কারখানা করেন, প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসা স্থাপন করেন, আমি মনে করি বাংলাদেশকে এই ক্ষেত্রে বিবেচনা করা যায়।
গত ২৬ মার্চ চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে গেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। ২৭ মার্চ তিনি বোয়াও ফোরামে বক্তব্য দেন। ‘এক পরিবর্তনশীল বিশ্বে এশিয়া: একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের দিকে’ শীর্ষক বক্তৃতায় তিনি এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। সফর শেষে ২৯ মার্চ দেশে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা।