চীনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে দেশটি থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল হোয়াইট হাউস এ তথ্য জানায়।
এই ঘোষণার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমদানিকৃত ও প্রক্রিয়াজাত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ—যেমন কোবাল্ট, লিথিয়াম, নিকেল এবং বিরল-মূল্যবান ধাতু যা স্মার্টফোন, ইলেকট্রিক যানবাহনের ব্যাটারি এবং সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, তা নিয়ে একটি ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ সংশ্লিষ্ট তদন্তের অনুমোদন দিয়েছেন।
ট্রাম্পের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এসব খনিজে বিদেশি উৎসের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল এবং এই নির্ভরতা দীর্ঘমেয়াদে ‘সাপ্লাই চেইনে বড় ধরনের ধাক্কা’ দিতে পারে, যা দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।
এর আগ পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল এবং চীন আমেরিকান পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিল। চীন ইতিমধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যেগুলো মূলত উড়োজাহাজ শিল্প এবং সামরিক সরঞ্জাম নির্মাতারা ব্যবহার করে।
এদিকে, বুধবার সকালে চীনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক আরোপ তাদের ওপর “চাপ সৃষ্টি করছে”। তবে একইসঙ্গে চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি ৫.৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা পূর্বাভাসের চেয়েও ভালো। শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৫ শতাংশ এবং খুচরা বিক্রি বেড়েছে ৪.৬ শতাংশ হারে।
চীন সতর্ক করে বলেছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশ দিন দিন আরও ‘জটিল ও কঠিন’ হয়ে উঠছে এবং দেশে চাহিদা ও প্রবৃদ্ধি বাড়াতে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। এদিকে ট্রাম্প বলেন, চীনের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে প্রথম পদক্ষেপ তাদেরই নিতে হবে। বল এখন চীনের কোর্টে। তাদের আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে।