চিড়িয়াখানা-বোটানিক্যাল গার্ডেনে দর্শনার্থীর ঢল

চিড়িয়াখানা-বোটানিক্যাল গার্ডেনে দর্শনার্থীর ঢল

সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি ছুটিতে রয়েছে দেশবাসী।
সাধারণত ছুটির দিনগুলোতে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও ঈদের দিন সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা গিয়েছিল রাজধানী মিরপুরে অবস্থিত চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে। ছিল না ঈদকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীর ভিড়। তবে ঈদের দ্বিতীয় দিনের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ যেনো প্রাণ ফিরেছে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন। ঢল নেমেছে সাধারণ দর্শনার্থীদের।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে রাজধানী মিরপুরে অবস্থিত চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

চিড়িয়াখানা-বোটানিক্যাল গার্ডেনে দর্শনার্থীর ঢল

সরেজমিনে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরে দেখা গেছে, দর্শনার্থীদের উপস্থিতির জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে এই দুটি স্থান। হাজারো দর্শণার্থীর উপস্থিতিতে সরগম হয়ে উঠেছে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন চত্বর। ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করছেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। একই সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে এই স্থান কেন্দ্রিক ফুটপাত ব্যবসায়ীদেরও।

ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেছে, পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা পিতা মাতা তাদের সন্তানদের বিভিন্ন পশু সম্পর্কে জানাচ্ছেন। এছাড়া কেউ কেউ ছবি তুলতে ব্যস্ত, কেউবা আবার বসে জিরিয়ে নিচ্ছেন।

মিরপুর ১৪ পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন মো.তারেক। তিনি বলেন, সব সময় ইচ্ছা করলেই কাজের চাপে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা হয় না। ঈদের ছুটিতে ঢাকাতে ফ্রি সময় পার করছি তাই ভাবলাম ঘুরে আসি। এই জন্য পরিবার নিয়ে ঘুরতে চলে আসছি।


আশুলিয়ার জিরাবো থেকে ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছেন রুহুল আমিন। তিনি বলেন, সাভারে বাসা হওয়ায় সচরাচর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা হয় না। এখানে ঘুরতে আসলে অনেক পশুপাখি সম্পর্কে বাচ্চাদের চেনানো যায়। তাই ঈদের ছুটিতে বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি।

নারায়নগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে এসেছেন মো.মাসুদ। তিনি বলেন, সবাইকে সাথে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এসে ভালোই লাগছে। তবে একটা বিষয় খারাপ লাগলো। আমাদের দেশে যেখানে তিন বছরের শিশুকে বিমানে টিকিটের প্রয়োজন হয় না, সেখানে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে তিন বছরের শিশুর জন্যেও ৫০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ যদি এই বিষয়টা একটু সুনজর দেন তাহলে সবার জন্য উপকার হয়।

পিয়াসা আইস গোল্লা বিক্রেতা সাব্বির বলেন, গতকাল কিছুই বিক্রি করতে পারি নাই। কয়েকশো টাকার বিক্রি করে চলে গিয়েছিলাম। লোক ছিল না গতকাল। আজ মোটামুটি ভালই বিক্রি হয়েছে।


শিশুদের ক্যান্ডি (পুতুল) বিক্রেতা রোমিও বলেন, বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি ভালো। তবে যেমনটা আশা করেছিলাম তেমনটা বিক্রি নেই।

দর্শনার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা এবং সার্বিক বিষয়ে জানতে চিড়িয়াখানার পরিচালক ড.মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদারের কক্ষে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তার কার্যালয়ে দায়িত্বরত কর্মচারী বলেন, স্যার রাউন্ডে (পরিদর্শনে) আছেন।

Scroll to Top