সম্প্রতি সেনাসদরের একটি প্রশাসনিক চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা ঘিরে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, ওই চিঠিটি বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে পূর্বে সংঘটিত কিছু ঘটনায় সেনাসদস্যদের হেনস্তার অভিযোগ-সংক্রান্ত তথ্য আহ্বান বিষয়ক ছিল। তবে এটি ছিল জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের চাহিদার ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহের অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ, যা পরে সেনাসদর কর্তৃক বাতিল করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহ ও সেই বর্বর হত্যাকাণ্ডের পর গঠিত তদন্ত কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য পাঠানোর উদ্দেশ্যেই ওই চিঠি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে যেকোনো রকম ভুল ব্যাখ্যা বা অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্য সেনাসদর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সেই চিঠির কার্যক্রম স্থগিত ও বাতিল করা হয়।
একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিষয়টিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এবং অনাস্থা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এতে কোনোভাবেই বিভ্রান্ত না হতে গণমাধ্যম ও জনসাধারণকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে দেশের নিরাপত্তা, শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমন্বয় এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এই বন্ধন অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।