গাড়িটির পেছনের আসনে বসে বেশ ভালো লাগল। কারণ, আসনটি সামান্য হেলানো ছিল এবং সামনে পা রাখার প্রশস্ত জায়গা রয়েছে। ফলে ছয় ফিট উচ্চতার মানুষেরও পেছনের আসনে স্বচ্ছন্দে পা রেখে বসতে পারবেন। পেছনের দুই আসনের মাঝখানে হ্যান্ডরেস্ট থাকায় দূরের যাত্রায় বেশ আরাম করে বসা যাবে এই গাড়িতে। পেছনের আসনের যাত্রীদের জন্য আলাদা এসি ভেন্টসহ স্মার্টফোন চার্জ করার জন্য ইউএসবি এবং টাইপ সি পোর্টও রয়েছে।
মালামাল বহনের জন্য গাড়িটিতে সুপরিসর বুট স্পেস আছে, যা দ্বিতীয় সারির আসন পরিবর্তন করে দ্বিগুণ করে ফেলা যায়। গাড়ির অভ্যন্তরে রয়েছে অটো ডিমিং রিয়ার ভিউ মিরর। এই প্রযুক্তির কারণে রাতের ভ্রমণে পেছনের গাড়ির হেডলাইটের তির্যক আলো গাড়ির চালকের দৃষ্টিতে প্রভাব ফেলবে না। রয়েছে পেছনের আসনের সিট বেল্ট ওয়ার্নিং। দ্বৈত জোনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে ন্যানোএক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করায় গাড়ির অভ্যন্তরে মিলবে বিশুদ্ধ শীতল হাওয়া।
গাড়িটিতে রিয়ার ভিউ ক্যামেরার সঙ্গে পার্কিং সেন্সর রয়েছে। ফেরার সময়ে আউটল্যান্ডার স্পোর্টকে গতিতে রেখে ভাঙা রাস্তার ওপর চালালেও গাড়ির চাকা সরে যায়নি। সন্ধ্যা নামার পর গাড়ির ভেতরের সামনের সারিতে ড্যাশবোর্ড এবং দুই দরজাতে নীল রঙের অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটের আলো গাড়ির ভেতর বৈচিত্র্যময় করে তুলেছিল। সাদা, কালো, ধূসর, লাল, গ্রাফাইট গ্রে মেটালিক এবং হলুদ রঙে মিতসুবিশি আউটল্যান্ডার স্পোর্ট দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। গাড়িটির দাম ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পাঁচ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ তিনটি বিনা মূল্যে সার্ভিস সুবিধাও পাওয়া যাবে।