অতিথিদের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং পরে এসে যোগ দেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তাঁদের পক্ষ থেকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই অর্জনের জন্য প্রথম আলোকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন বাস্তবতা নতুন চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের অনেক রকম ভাবনা, অনেক রকম চাহিদা রয়েছে। তাঁরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন সবকিছুর সমন্বয় করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
অতিথিদের মধ্য থেকে মঞ্চে এসে প্রথম আলোর এই অনন্য অর্জনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সংক্ষিপ্ত মন্তব্য করেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, প্রথম আলো তার বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য দেশের পাঠকদের প্রিয় পত্রিকা হয়ে উঠেছে। এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে স্বীকৃতি এল। দেশে শীর্ষ স্থানে ছিল, আছে এবং থাকবে।
অধ্যাপক পারভীন হাসান বলেন, ‘আমরা জানলাম কত চাপের মধ্যে থেকে প্রথম আলো বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে যাচ্ছে। সম্পাদকের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা, বিজ্ঞাপন বন্ধ, তার মধ্যেও প্রথম আলো তার লক্ষ্য থেকে সরে আসেনি। এ জন্যই এবার দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, ভবিষ্যতে বিশ্বসেরার মর্যাদা লাভ করবে।’
নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘প্রথম আলো কোনো চাপের সামনে আপস করেনি। আমরা ভেতরে থেকে জানি, সংবাদপত্রের নেপথ্যের মানুষগুলোকে কত ভয়ানক চাপের মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। আমরা প্রথম আলোর সঙ্গে ছিলাম। সম্পাদক মতিউর রহমান অসাধারণ দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে সেই চাপ সামলে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’